
দৈনিক জনকণ্ঠ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার অন্যতম পর্যটন এলাকা বারেক টিলার আঁকাবাঁকা উঁচু সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে অবশেষে। এর মধ্যে দিয়ে আগত দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলে দীর্ঘদিনের যে ভোগান্তি ছিল, তার নিরসন ঘটলো। অনেক বছর ধারে সড়কটি সংস্কারের দাবি ছিল পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বারেকটিলা এলাকাটি ভারত সীমান্ত সংলগ্ন তাহিরপুরের জনপ্রিয় একটি পর্যটন স্পট। পুরো এলাকাটি গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ। টিলার নীচ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলের নদী যাদুকাটা। টিলা, পাহাড় ও নদী- এই তিনে মিলে স্থানটিকে নয়নাভিরাম করে তুলেছে, যা দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌন্দর্যপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন এখানে।
টিলার উপরে ওঠার জন্য একটি আঁকাবাঁকা সড়ক রয়েছে। এই সড়ক বেয়েই বেশিরভাগ পর্যটক উপরে উঠে টিলা, পাহাড় ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেন। তবে উপরে উঠতে গিয়ে সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। সে কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো আগত দর্শনার্থীদের।
আবার দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকরা সড়কটির ভাঙা স্থানে মাঝেমধ্যে মাটি ভরাট করে চলাচল করতো। বিষয়টি জেনে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম। আর বেহাল এই সড়কটি সংস্কার করতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন তাদের উন্নয়ন বাজেট ও বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে অর্থ সংযোজন করে সড়কটির সংস্কার কাজের ব্যয়ভার মিটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বারেকটিলার আঁকাবাঁকা সড়কটি দীর্ঘদিন ধারে চলাচলের অনুপযোগী ছিল। দূর থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা সড়কটির বেহাল আর ভয়ানক অবস্থা দেখে হতাশ হতো।
বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করেও কোনো সুফল মেলেনি। দীর্ঘদিন পরে হলেও সড়কটির সংস্কার হয়েছে জেনে ভালো লাগছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম জনকণ্ঠ'কে বলেন, তাহিরপুরে যোগদানের শুরু থেকেই এখানকার পর্যটন বিকাশে মনোনিবেশ ছিল। এরই অংশ হিসেবে বারেক টিলার আঁকাবাঁকা ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। যেন আগত দর্শনার্থীরা এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে আর দুর্ভোগ না পান।
হ্যাপী