ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সান্ডার তেলের বিজ্ঞাপন সত্য নাকি বিভ্রান্তি? জানুন বাস্তবতা!

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২৫ মে ২০২৫

সান্ডার তেলের বিজ্ঞাপন সত্য নাকি বিভ্রান্তি? জানুন বাস্তবতা!

ছবি: সংগৃহীত

"সান্ডার তেল" নিয়ে বর্তমানে অনেক আলোচনা চলছে, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে। এটি মূলত একটি আয়ুর্বেদিক বা হারবাল তেল, যেটি পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য (বিশেষত যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবিতে) বাজারজাত করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই তেল আসলেই কতটা কার্যকর এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ কিনা?

সান্ডার তেলের প্রচার সাধারণত নিচের বিষয়গুলো ঘিরে: পুরুষাঙ্গে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী সহবাসে সহায়তা করে, যৌন অক্ষমতা ও দুর্বলতা দূর করে। এই তেলের উপাদান হিসেবে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন—আশ্বগন্ধা, জায়ফল, কস্তুরি, জাফরান ইত্যাদির কথা বলা হয়।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে কী জানা যায়?
কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে সান্ডার তেল পুরুষাঙ্গের সাইজ বাড়াতে পারে। এ ধরনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রতারণামূলক।রক্তসঞ্চালন কিছুটা বাড়তে পারে, কিন্তু তার প্রভাব খুবই সাময়িক এবং মানসিক প্রভাব বেশি কাজ করে। অঙ্গমলনের (massage) মাধ্যমে সাময়িক উত্তেজনা অনুভূত হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী কোন উন্নতির পক্ষে বিজ্ঞান কিছু বলে না।

বাজারে অনেক ভেজাল সান্ডার তেল পাওয়া যায়, যা ত্বকে জ্বালাপোড়া, ফুসকুড়ি বা ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারে চামড়ার স্থায়ী ক্ষতি বা স্নায়ুর ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে। অনেক ক্ষেত্রে মানসিকভাবে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়, যা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।

যদি সত্যিকারের হারবাল তেল হয় এবং উপাদানগুলো পরীক্ষিত ও নিরাপদ হয়, তাহলে এটি শরীর ম্যাসাজের জন্য সাময়িকভাবে আরাম দিতে পারে। তবে এটি কোনও চিকিৎসার বিকল্প নয় এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির নিশ্চিত উপায়ও নয়।

সান্ডার তেল কোনও চিকিৎসাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রমাণিত যৌনশক্তি বৃদ্ধিকারী উপাদান নয়। এটি একটি প্রচলিত হারবাল পণ্য, যার অনেক দাবি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণে ভিত্তিহীন। বরং সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক প্রশান্তি, এবং প্রয়োজনে যৌন চিকিৎসকের পরামর্শই দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যকর ও কার্যকর।

ফারুক

×