রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর হাটের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাপুর হাটে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের চরকুটিয়া গ্রামের কবির মোল্লার ছেলে আরজু মোল্লা (৪৮), লুৎফর মন্ডলের ছেলে কদম মন্ডল (৪০) ও হাবিল মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মন্ডল (৩৮)। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকেই প্রথমে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনাপুর হাটটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপণ্য হাট। এ হাটের একাংশের বার্ষিক ইজারা পান আরজু মোল্লা। ইজারা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন প্রতিদ্বন্দ্বী শিমুল নামের এক যুবক। পূর্ব বিরোধের জেরে রবিবার হাটে একা পাওয়া মাত্র শিমুল ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরজুকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। এসময় আরজুর সঙ্গে থাকা কদম ও বাচ্চু মন্ডলকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুজ্জামান বলেন, “তিনজনই গুরুতর আহত। আরজুর ডান হাত কনুইয়ের ওপরে থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। কদমের পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কিডনি বেরিয়ে এসেছিল, সেটি তাৎক্ষণিক সেলাই করা হয়েছে। বাচ্চুর আঘাত তুলনামূলক কম হলেও তাকেও সতর্কতা হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জামাল উদ্দিন বলেন, “সোনাপুর হাটের ইজারা নিয়ে বিরোধ থেকেই এই হামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিমুল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।”
এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মিমিয়া
