
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনে পুরোদমে ট্রেন চললেও এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে ট্রেন থামার বিভিন্ন স্টেশন। বিশেষ করে কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের অবস্থা খুব খারাপ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় চুরি হয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরঞ্জামাদি। বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক বাল্ব, ওয়াটার বাল্ব ও নানা সরঞ্জামাদি চুরি হয়ে যাওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে স্টেশনটি।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ওয়াশপিট। ৩টি ওয়াশপিটে ছিল ৯’শ ওয়াটার্রিং বাল্ব, ৩’শ বৈদ্যুতিক বাল্ব আর মাটির নিচ নিয়ে চালানো প্রায় ৬ হাজার মিটার বৈদ্যুতিক তার। কিন্তু চোরের দল নিয়ে গেছে সবকিছু। যার কারণে অন্ধকারে ট্রেনের আন্ডার গিয়ার চেকিং ও ধোঁয়ামোছার কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিকরা। আর সীমানা প্রাচীর না থাকায় কর্মকর্তারা বলছেন, নানা সরঞ্জামাদি চুরির ঘটনা তো ঘটছেই।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ক্যারেজ ডিপোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী (রেলযান পরীক্ষক) আব্দুল জলিল বলেন, গত ৩ থেকে ৪ মাস প্রচুর চুরির ঘটনা ঘটছে। মাটির নিচ দিয়ে নেয়া প্রায় ৬ হাজার মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে। যার কারণে সন্ধ্যার পর ট্রেন ওয়াশ করতে সমস্যা হচ্ছে। ট্রেনের আন্ডার গিয়ার চেকিং করতে বাধাগ্রস্থ হতে হয়। এতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ পুরো ওয়াশপিট এলাকা অন্ধকারে থাকে।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এখনো বুঝিয়ে দেয়া হয়নি আইকনিক স্টেশনটি। আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আর রক্ষণাবেক্ষণ মেয়াদকাল শেষ হবে সেপ্টেম্বরে।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. গোলাম রব্বানি বলেন, এখনো বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রকল্পটি পুরোপুরি বুঝিয়ে দেয়নি। অফিসিয়ালি এখনো হস্তান্তর হয়নি। আমরা ট্রেন পরিচালনার স্বার্থে কয়েকটা রুম ব্যবহার করি। আমাদের কার্যক্রম চালাচ্ছি। কিন্তু অফিসিয়ালি হস্তান্তর হবার পর রেলওয়ে যখন পুরোপুরি বুঝে পাবে তখন যাত্রীদের জন্য সমস্ত কিছুই চালু করে দিতে পারব।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন সঙ্গে যৌথভাবে স্টেশন ভবনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।
মুমু