
ছবিঃ সংগৃহীত
ভূমি সেবায় জনবান্ধব ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এখন আর সেবা নিতে ভূমি অফিসে সশরীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মাদ ইউনূস।
তিনি রোববার (২৫ মে) দেশব্যাপী আয়োজিত তিনদিনব্যাপী "ভূমি মেলা ২০২৫"-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দেশের জনগণকে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে পরিশোধের আহ্বান জানান এবং ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, ফলে জমির গুরুত্ব অনেক। জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, এখন অনলাইনের মাধ্যমে জমির খাজনা পরিশোধ, নামজারি, জমা খারিজ, পর্চার সার্টিফায়েড কপি এবং মৌজা ম্যাপ পাওয়া যাচ্ছে। ভূমিসেবা সহায়ক নির্দেশিকা ২০২৫-এর আওতায় পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা মহানগরের পাঁচটি কেন্দ্রে সেবা চালু করা হয়েছে, যা জুন মাসের মধ্যে সাতটি বিভাগীয় শহর এবং পরবর্তী কয়েক মাসে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে নির্ধারিত ফি দিয়ে ভূমি মালিকরা সহজেই আবেদন করতে পারবেন। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারে ফোন করেও পরামর্শ ও অভিযোগ জানানো যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “ভূমি মেলার এই আয়োজন সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করবে এবং ভূমি সেবায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।”
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিকে এসে গেছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে জমির মালিকানা সুরক্ষিত করুন এবং জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখুন।”
প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “ডিজিটাল ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অবসান ঘটবে এবং ভবিষ্যতে ঘরে বসে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। তরুণ-তরুণীরা গ্রামের বাড়ি থেকেই দেশের জনগণকে ভূমিসেবা প্রদান করে সফলতা অর্জন করবে।”
শেষে তিনি ভূমি মেলা ২০২৫-এর সফলতা কামনা করেন এবং মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ইমরান