
ছবিঃ সংগৃহীত
ভূমি জালিয়াতি ও অবৈধ দখল রোধে সরকার চিহ্নিত করেছে ১২টি অপরাধ, যেগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিককে আইনি সুরক্ষা দিতে এই আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নতুন আইনের ৪(১)(ক) থেকে (ছ) ধারায় বলা হয়েছে,
-
অন্যের মালিকানাধীন জমিকে নিজের বলে দাবি বা প্রচার,
-
তথ্য গোপন করে জমি অন্যের নিকট বিক্রি,
-
নিজের মালিকানার চেয়ে অতিরিক্ত জমি বিক্রি,
-
মিথ্যা পরিচয়ে জমি বিক্রির লেনদেন,
-
মিথ্যা বিবরণ সংবলিত দলিল তৈরি বা স্বাক্ষর,
-
কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রদান—
এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
আইনের ৫(১)(ক) থেকে (ঙ) ধারায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি
-
প্রতারণার উদ্দেশ্যে মিথ্যা দলিল তৈরি,
-
জাল দলিল তৈরি বা ব্যবহারে সহায়তা,
-
অন্যকে দলিল স্বাক্ষরে বাধ্য করা,
-
সিলমোহর বা দলিল বিকৃত করেন—
তাহলেও একই ধরনের শাস্তির আওতায় আসবেন।
এই অপরাধের মামলা দায়ের করতে হবে সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে। আদালত মামলার কাগজপত্র ও অভিযোগের গুণাগুণ বিবেচনা করে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করতে পারেন, তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন অথবা প্রাথমিক সত্যতা না পেলে মামলাটি খারিজও করে দিতে পারেন। তবে খারিজ হলে মামলাটি পুনরায় চালু করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করা যাবে।
ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে এই আইন অনুসারে মামলার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জমি সংক্রান্ত অপরাধ ও প্রতারণা ঠেকাতে এই আইন এক কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যেই বিবেচিত হচ্ছে। ভূমি সংক্রান্ত জালিয়াতির দিন যে ফুরাচ্ছে, সেটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এই আইন।
ইমরান