
ছবিঃ সংগৃহীত
দেশে দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় ক্ষেত্রেই মিথ্যা মামলার ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব মামলার মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়রানি, সম্পত্তি দখল, কিংবা সামাজিক ও পারিবারিক সম্মানহানির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরা বলছেন, দেওয়ানী মামলায় প্রায়শই এমন অভিযোগ আসে—প্রকৃত মালিককে জমির সঠিক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে এবং হস্তান্তর ঠেকাতে বিরোধীরা মিথ্যা মামলা করে থাকেন। এতে বছরের পর বছর প্রকৃত মালিক আইনি জটিলতায় পড়ে যান। অধিকাংশ সময় এসব মামলা দীর্ঘায়িত হয়ে হয়রানির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রেও ভিন্ন চিত্র নেই। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ থেকে অনেক সময় মিথ্যা যৌতুক বা নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক ক্ষত নিজেই সৃষ্টি করে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করার ঘটনাও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
আইনজীবীদের মতে, এ ধরনের মামলায় ভুলেও ঘরে বসে থাকলে তা বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। দেওয়ানী মামলায় অনুপস্থিত থাকলে একতরফা রায় হয়ে যেতে পারে। আর ফৌজদারী মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মামলা মিথ্যা হলেও তা আদালতে অংশ নিয়ে প্রমাণ করাই উত্তম পথ।
এক সিনিয়র আইনজীবী বলেন, “সত্য মিথ্যার প্রশ্ন নয়, আপনি আদালতে না গেলে আইন আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। আইনি লড়াই ছাড়া এই হয়রানি থেকে মুক্তির পথ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকেই মনে করেন জমি তার, তাই মামলা মিথ্যা বলে আদালতে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু এ ধরনের অবহেলা শেষ পর্যন্ত সম্পত্তি হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, মামলা যেই করুক, যেই উদ্দেশ্যে করুক, যথাসময়ে মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়মমাফিক আইনি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মারিয়া