
ছবি: প্রতীকী
সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় দলিল যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন আইনজীবী তৌফিক। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সন্দেহ করেন যে কোনো দলিল জাল হতে পারে, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আটটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতির মাধ্যমেই আপনি দলিলের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন।’
প্রথম পদ্ধতি: ভলিউমের তথ্য যাচাই
দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চারটি রেজিস্টারে দলিল সংরক্ষিত থাকে। সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে আবেদন করে মূল রেজিস্ট্রার দলিলের সঙ্গে মেলানো যেতে পারে। এতে দলিলটির আসল নাকি নকল তা নিরূপণ সম্ভব।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: স্বাক্ষর যাচাই
অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল তৈরি করা হয়। এজন্য স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দলিলদাতা বা দলিলগ্রহীতার স্বাক্ষর যাচাই করতে হবে।
তৃতীয় পদ্ধতি: মূল মালিক শনাক্তকরণ
একই জমির একাধিক মালিক থাকলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে মূল মালিককে শনাক্ত করতে হবে।
চতুর্থ পদ্ধতি: নামজারি যাচাই
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে মিউটেশন বা নামজারির ধারাবাহিকতা যাচাই করতে হবে। ধারাবাহিকতা না থাকলে দলিলটি জাল হতে পারে।
পঞ্চম পদ্ধতি: আমমোক্তারনামা যাচাই
সম্প্রতি কোনো আমমোক্তারনামা দলিল হয়ে থাকলে, তার ওপর ছবি সংযুক্ত আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
ষষ্ঠ পদ্ধতি: তারিখ ও সম্পর্ক যাচাই
দানপত্র হলে, দলিলের তারিখ ও জমি হস্তান্তরের তারিখ মিলিয়ে দেখতে হবে। দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কিনা এবং দলিলদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সম্পর্কের সত্যতা যাচাই করা জরুরি।
সপ্তম পদ্ধতি: দলিল লেখক যাচাই
দলিল লেখকের নাম-ঠিকানা জেনে সরজমিনে তার সাথে যোগাযোগ করে দলিলটির যথার্থতা নিশ্চিত করতে হবে।
অষ্টম ও সর্বশেষ পদ্ধতি: সিল ও স্ট্যাম্প যাচাই
দলিল সম্পাদনের সময় ব্যবহৃত স্ট্যাম্প কোথা থেকে কেনা হয়েছে, কার নামে কেনা হয়েছে ও স্ট্যাম্পে উল্লেখিত ক্রমিক নম্বর যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট স্ট্যাম্প বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আইনজীবী তৌফিক বলেন, ‘এই আটটি ধাপ অনুসরণ করলেই সহজেই বুঝতে পারবেন, দলিলটি আসল না জাল।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=-j_cECyj4hQ
রাকিব