
গেল কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এরপর আলোচনায় আসেন মতিউর। তখন তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কোরবানির ঈদে তাঁর ছেলে ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনেছিলেন। কিন্তু এনবিআরের একজন সদস্যের কত টাকা বেতন এ নিয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তখন চলে ব্যাপক আলোচনা।
বাংলাদেশের সেই ছাগল কাণ্ডের পর এবার আলোচনায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছাগল।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শরীরে হরিণের মতো ডোরা কাটা দাগ, কিন্তু দেখলে মনে হয় যেন কুকুর। তবে আসলে এটি ছাগল। এমনই এক বিরল ছাগল সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল-খাইমাহতে বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার দিরহামে। যা বাংলাদেশি অর্থে ২৩ লাখ টাকার সমান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে, এই ছাগলটি নিলামে তোলা হয়েছে। যেটি নিয়ে অনেক বিট করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ শনিবার (১৭ মে) জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে শুক্রবার এক নিলামে ছাগলটি তোলা হয়। ২৩ লাখ টাকায় যে ছাগলটি বিক্রি হয়েছে এটি সালালি জাতের। এটির উৎপত্তি ওমানের সালালাতে। তবে ছাগলটি আরব আমিরাত এবং গালফ অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়। এই ছাগলগুলো তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের জন্য জনপ্রিয়। এগুলো সুষম দেহের অধিকারী, এ জাতের ছাগলের কানগুলো ছোট এবং খাড়া, সুন্দর লোমে আবৃত, ছোট লেজ এবং শরীরে বৃত্তাকার নকশা থাকে। যা ছাগলগুলোর উচ্চমূল্যতে ভূমিকা রেখেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনেকেই বিরল প্রাণী সংরক্ষণ করেন। তাদের মধ্যেই একজন ৭০ হাজার দিরহামে এটি কিনেছেন।
ফুয়াদ