
ছবি: জনকণ্ঠ
মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। এ জন্য মাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে মাঠে নামের আয়োজকগন। এরপর যা দেখার দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন সকলে। একটি দুইটি কিংবা একশত টি নয়। রীতিমতো হাজারের কাছে পাওয়া গেলে মাদক ব্যবহারের খালি ফেন্সিডিল বোতলের স্তূপ। এরপরই ছড়িয়ে পড়লো ঘটনা। উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষজনের মাঝে তোলপাড় সৃস্টি করেছে। নেটিজেনরাও বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন।
শনিবার (২৪ মে) উপজেলার সাবেক খেলোয়াড় রাশেদ মন্তব্য করে বলেন মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চারের আহ্বানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে স্টেডিয়ামের মাঠে থাকা বৃষ্টির পানি অপসারণ ও মাঠ পরিষ্কারের সিদ্ধান্তে যুব সমাজ মাঠে নামে। শুক্রবার মাঠ পরিষ্কার করতে গিয়ে মাঠের পানি ড্রেনে ফেলার আগে ড্রেন পরিষ্কার করতে হয়। ওই সময় দেখা যায় পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে আছে শতশত খালি ফেন্সিডিলের খালি বোতলের কারণে। যা পড়ে অপসারণ করা হয়। তিনি অভিযোগ করে জানান, আইনশৃঙ্খলা সভায় মাদকের বিরুদ্ধে সকলে সোচ্চার হয়ে কথা বলেও বাস্তবে উপজেলা শহরে যেন মাদকের হাট বসে। কারা বিক্রি করে সবইতো জানে সবাই। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে না।
বলতে গেলে কিশোরীগঞ্জ স্টেডিয়াম মাঠটি নেশাখোরদের আস্তানা। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মোতালেব নামে একজন প্রশ্ন করেন, একটা না দুটো না শতশত ফেনসিডিলের বোতল কীভাবে স্টেডিয়াম মাঠের কাছে ফেলা রাখা হয়। আশপাশের সিসিটিভি দেখে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী-গডফাদারদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তিনি।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন সহীদ সোহরাওয়ার্দী বাবু বলেন, স্টেডিয়ামে রাতে কেউ আড্ডা দিতে পারবে না। স্টেডিয়ামসহ কিশোরীগঞ্জকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোড় দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধারের কথা শুনেছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সাব্বির