
দৈনিক জনকণ্ঠ
নেই চকচকে মনোগ্রাম অথবা খুব জাকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা। নেই ভালো কোনো সাইনবোর্ডও। তবুও যুগ যুগ ধরেই রাজশাহী মানুষের মন জয় করে আসছে এ জিলাপি। কেউ রাজশাহী বেড়াতে আসবেন আর এ জিলাপির স্বাদ গ্রহণ করবেন না তা কীভাবে হয়? তাই এক নামেই সবাই চেনেন বাটার মোড়ের জিলাপিকে।
রাজশাহীর ঐতিহ্য হয়ে স্বাদ আর মিষ্টি সুবাসের জাদু নিয়ে এখনও টিকে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ‘বাটার মোড়ের জিলাপি’। রাজশাহী শহরের বাটার মোড় এলাকায় গেলেই নাকে ভেসে আসবে এ মিষ্টি জিলাপির রসের ঘ্রাণ। একটু তাকালেই দেখতে পাওয়া যাবে বিশাল লোহার কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে গরম গরম এই জিলাপি।
রাজশাহীতে এ জিলাপির প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় রাজশাহী বাইপাস মোড়ে জিলাপি ব্যবসা শুরু করেন সোয়েব উদ্দিন। তখনকার সময়ে তার কারিগর ছিলেন জামিলী।
তারপর থেকেই আস্তে আস্তে প্রচলিত হতে থাকে এ জিলাপি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কেননা ততদিনে এই ঘটনা রাজশাহীবাসীর মন জয় করে নিয়েছে।
১৯৭২ সাল থেকে জামিলী সাহার ছেলে কালী পদ সাহা (কালী বাবু) বাবার সঙ্গে জিলাপির কারিগর হয়ে উঠতে শুরু করেন। এরপর ১৯৮০ সালে জামিলী সাহা মারা যাওয়ার পর কালীপদ সাহা প্রধান কারিগর হয়ে ওঠেন। এ শহরের সবার কাছে তিনি ‘কালিবাবু’ নামে পরিচিত ছিলেন।
কালীপদ সাহা মারা যান ৮ বছর আগে ২০১৭ সালে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তার দুই শিষ্য সাফাত আলী ও শফিকুল ইসলাম জিলাপি বানাচ্ছেন।শামীম বলেন, এই জিলাপির দোকানের শুরু ১৯৬০ সালের দিকে প্রায় । এ জিলাপি আজ ৬৫ বছর ধারে রাজশাহীর অনুপম ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখানকার কারিগর সাফাত আলী বলেন, সাধারণ আটা ও ময়দা ব্যবহার করা হয় এ জিলাপিতে। এসব উপাদান পানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশিয়ে রাখা হয় টানা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। এই তেল দিয়ে জিলাপি ভাজা হয়।
দোকান মালিক শামীম বলেন, কিন্তু শুধু বাবার ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটিকে রাখতেই তারা এখনও ধারে রেখেছেন জিলাপি ব্যবসা। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এ ধারা অব্যাহত রাখতে চায়।
হ্যাপী