ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা

মুরাদ খান, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ০১:৩২, ২৫ মে ২০২৫

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা

দৈনিক জনকণ্ঠ

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ ও বিশুদ্ধ মাংস উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের খামারিরা। জেলার বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় গরুর খামার। এসব খামারে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারের ওপর ভিত্তি করে পশু লালনপালন করা হচ্ছে। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে লাভের মাধ্যমে স্বপ্নপূরণের আশা করছেন খামারিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার দিঘী, কাটিগ্রাম, ফালাজুদ্দিনপাড়া ও আশপাশের এলাকায় খামারিদের বাড়তি তৎপরতা চলছে। খামারগুলোতে এখন নিয়মিত চিকিৎসক পরিদর্শন ও অতিরিক্ত পরিচর্যার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সামান্য অসাবধানতা যেন বড় ক্ষতির কারণ না হয়, সেদিকে সজাগ খামারিরা।

তবে খামারিরা বলছেন, এবার তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোখাদ্যের দাম। গত বছরের তুলনায় দাম প্রায় দ্বিগুণ, যার ফলে পশু পালন ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। তাছাড়া চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর সংখ্যা বেশি থাকায় দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকে।

দিঘী গ্রামের খামারি জেসমিন আক্তার বলেন, ‘প্রতি বছর ২০-২৫টা গরু পালন করি। কিন্তু এবার বাছুরের দাম ও খাদ্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি।’

ফালাজুদ্দিন নামের আরেক খামারি জানান, ‘ভালো জাত ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গরু লালন করছি। আশা করছি লাভ হবে।’

কাটিগ্রামের খামারি বকুল মিয়া বলেন, ‘আমরা গরুকে প্রাকৃতিকভাবে বড় করে তুলি। এবার ২ একর জমিতে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ করেছি। তবে খাদ্যের দাম অনেক বেশি। যদি ভারতীয় গরু বাজারে ঢোকে, তাহলে আমাদের অবস্থা খুব খারাপ হবে।’

খামারিরা মনে করছেন, দেশি গরুর বিক্রি বাড়াতে ভারতীয় গরুর প্রবেশ বন্ধ রাখা জরুরি।

হ্যাপী

×