
ছবি: জনকণ্ঠ
শনিবার সন্ধ্যায় এক নির্মম দুর্ঘটনায় নিভে গেল দুইটি প্রাণ। মজলিসের আলু ঘাটি হাতে নাতনীর বাড়ির পথে পা বাড়ানো এক বৃদ্ধা ও তার নাতী আর ঘরে ফিরলেন না। মহাস্থানে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মারা গেলেন মছিরন বিবি (৫৫) ও তার ১২ বছরের নাতি নুর আলম।
ঘটনাটি ঘটে মহাস্থান মাহীসওয়ার ডিগ্রি কলেজের পূর্বপাশে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে, ফুটওভার ব্রিজের ঠিক শেষপ্রান্তে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে রংপুরগামী একটি বাস দ্রুত গতিতে এসে রাস্তা পার হতে যাওয়া দাদী-নাতিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। নুর আলম ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়, মাথা থেঁতলে যায় তার। আহত অবস্থায় মছিরন বিবিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতদের বাড়ি গাইবান্ধার ধাপের হাট এলাকায়। সাইদুর রহমান, নিহতদের পরিবারের কর্তা, একজন হোটেল শ্রমিক। মা হারা একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি মহাস্থানগড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন মহাস্থান নামাপাড়ায়। শনিবার গ্রামের একটি শোকসভা বা মজলিসে ঘাটি দেওয়ার উদ্দেশে মা মছিরন ও ছেলে নুর আলম রওনা দিয়েছিলেন মেয়ের বাড়ির দিকে। তাদের সেই শেষ যাত্রা হয়ে গেল মৃত্যুর পথ।
এ বিষয়ে কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, “বাসটি শনাক্তে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”
একটি মজলিসের ঘাটি দিতে গিয়ে, যে ঘাটির অর্থ হয়তো ছিল আত্মীয়তা, বন্ধন, শোক ও সম্মান সেই ঘাটিই কাল হয়ে গেল দুই প্রাণের জন্য। এ দুর্ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা সমাজের জন্যই এক ট্র্যাজেডি।
সাব্বির