ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আলোচনা সভায় ড. মঈন খান

একাত্তরের ইতিহাস যারা অস্বীকার করতে চায় তাদের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা উ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ২৫ মে ২০২৫

একাত্তরের ইতিহাস যারা অস্বীকার করতে চায় তাদের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা উ

জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ 

একাত্তরের ইতিহাস যারা অস্বীকার করতে চায়, তাদের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, দেশে আজ যে সংকট তার সমাধান হলো গণতান্ত্রিক উত্তরণ। 
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঈন খান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু সরকার বা রাজনৈতিক দল নয়, গণমানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনা এবং ৫ আগস্ট দেশের যে পরিবর্তন এসেছিল, তার ৯ মাস পর দেশ এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে এসে দাঁড়ালো আমি জানতে চাই। কিছু ঐতিহাসিক সত্য রয়েছে, যা কখনো অস্বীকার করা যাবে না। সময়ের বিবর্তনে হয়ত তার গুরুত্ব কমে যায়।
ড. মঈন খান বলেন, বিশ্বের কোনো সংবিধানে কিন্তু খারাপ কথা লেখা থাকে না। দেশে ’৭২ সালের পর ’৭৫ সালে একটা সংবিধান এসেছিল। সে সময় সংবিধানে একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছিল, যার ফলাফল ছিল বাকশাল। পরে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেসব ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। 
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্র সঠিকভাবে প্র্যাকটিস করা হলে দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে পাঁচ বছর পর পর জনগণের সামনে পরীক্ষা দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের পরীক্ষা হলো নির্বাচন। সে নির্বাচনে যদি কারচুপি হয়, তা হলে সে পরীক্ষা থেকে বাদ। বলা হয় যে, অনেক নির্বাচনের মাধ্যমেও দেশ নাকি সঠিক পথে আসতে পারেনি। আমি বলতে চাই, বিগত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দোষটা নির্বাচনের নয়, দোষটা তাদের যারা নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন।
মঈন খান বলেন, একটি কথা আছে, তা হলো গণতন্ত্র একটি খারাপ ব্যবস্থা। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া আর বাকি সব ব্যবস্থা আরও বেশি খারাপ। এই সত্যটি উপলব্ধি করেই ১৯৭১ সালে লাখ লাখ মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন। 

×