
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই ভাবেন, ক্যান্সার হলে তা ঠিক হয় না। কিন্তু এটা একদম সঠিক নয়। ক্যান্সার এখন অনেকটাই নিরাময়যোগ্য, বিশেষ করে যদি সময় মতো লক্ষণ চেনা যায় এবং চিকিৎসা শুরু করা হয়। তাই সবাইকে জানতে হবে ক্যান্সারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ যা চোখ এড়ায় না।
ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি?
ক্যান্সারের লক্ষণ অনেক সময় সাধারণ অসুস্থতার সঙ্গে মিল থাকে, যেমন জ্বর বা ইনফেকশন। তবে কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো একদম উপেক্ষা করা উচিত নয়:
- কোনো ঘা বা টিউমার থাকলে যা এক থেকে দেড় মাসেও ভালো হয় না,
- কোনো জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ,
- গিলতে অসুবিধা,
- গলার আওয়াজ পরিবর্তিত হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ঠিক না হওয়া,
- শরীরে কোনো গুল্টি তৈরি হওয়া যা কোনো অসুবিধা করলেও দেখা যায়,
- দীর্ঘ সময় কাশি এবং কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া,
- হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া এবং ওষুধ খাওয়ার পর কিছুটা ভালো হলেও আবার খারাপ হওয়া,
- ছয় মাসে শরীরের ওজন যদি ১০% বা তার বেশি কমে যায়,
- পায়খানায় রক্তের উপস্থিতি বা পায়খানার আকার-রঙের পরিবর্তন (যেমন বদল হওয়া, ডায়রিয়া বা কনস্টিপেশন),
- অনেক সময় মানুষ এটা পাইলস বা অর্শ ভাবেন, কিন্তু পায়খানায় রক্ত আসার পেছনে ক্যান্সারও থাকতে পারে।
কেন দেরি হয় রোগ ধরা?
অনেকে এসে ডাক্তারের কাছে বলেন, আজ এলাম আর লাস্ট স্টেজ হয়েছে। এর কারণ হলো ক্যান্সার অনেক সময় নিঃশব্দে, ধীরে ধীরে বাড়ে এবং শুরুর লক্ষণ অনেক সময় খুব ছোট বা সহজ মনে হয়। তাই সচেতন না হলে রোগ অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে।
নিয়মিত পরীক্ষা করানোর গুরুত্ব
যদিও কোনো সমস্যা না থাকে তবুও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং সার্ভিক্যাল ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। পুরুষদের মধ্যে লাং ক্যান্সার, মুখ গলার ক্যান্সার বেশি। এছাড়া অন্যান্য ধরনের ক্যান্সারও হতে পারে।
উচ্চ ঝুঁকিতে যারা পড়েন
যারা ধূমপান করেন, অ্যালকোহল সেবন করেন বা পরিবারের কারো মধ্যে ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, তারা উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। তাদের অবশ্যই নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।
সতর্কতা ও প্রতিরোধ
সবার উচিত নিজেকে সচেতন রাখা। ক্যান্সার যেকোনো একজনের হতে পারে — এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে “আমার হবে না।” তাই প্রতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু হবে, নিরাময়ের সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
এসএফ