
কুয়েতে আসার আগে ভিসা যাচাই এবং ভিসা দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে নেওয়ার আহবান জানান কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন। সকল শ্রেণি-পেশার প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, "প্রবাসী শ্রমিকদের সব স্বার্থ আমরা আগে নিশ্চিত করি। আসার আগে তার বেতন, বাসস্থান, চিকিৎসা এসব নিয়োগকর্তার(কফিল) সাথে আলাপ করে আমরা নিশ্চিত হয়ে নি। যদি কোন কারণে কোন প্রবাসী মারা যায় তার মরদেহ দেশে পাঠানোর দায়িত্ব থাকে নিয়োগকর্তার উপর।"
"কুয়েতে ফ্রি ভিসা বলতে কোন ভিসা নেই। দালালরা ফ্রি ভিসা নাম দিয়ে উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি করে। যেখানে বলা হয় এই ভিসাতে যেখানে সেখানে কাজ করতে পারবে। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শ্রমিকদের সাধারণত দুটি ক্যাটাগরিতে কুয়েত আসতে হয়। কোন কোম্পানির অধীনে অথবা কোন ব্যাক্তির(কফিল) অধীনে। কোম্পানিতে হলে সে ওই কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী কাজ করবে আর ব্যাক্তির অধীনে হলে সে ওই ব্যাক্তির বাসা-বাড়িতে কাজ করবে। তাই ফ্রি ভিসাতে এসে প্রতারিত হওয়া যাবে না বলে জানান রাষ্ট্রদূত।"
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক কুয়েত আসছেন। আমি অনুরোধ আপনারা কোন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করে তারপর আসুন। দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা এখানে। যেখানে তাদের বেতন কাঠামো এবং সুযোগ সুবিধাও বেশি। অদক্ষ শ্রমিকের বেতন অনেক কম।"
উল্লেখ্য, কুয়েতে এক ভিসাতে এসে অন্য ভিসার কাজ করা দেশটির আইনে অবৈধ। যা শ্রম আইনের লঙ্ঘন। আকামা আইন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৮ দিনে ১,০৮৪ জন কুয়েত প্রবাসীকে বিতাড়িত করেছে দেশটির প্রশাসন। যেখানে বাংলাদেশ অধ্যুষিত কুয়েতের জিলিব আল-শুয়েখ এলাকায় অভিযানে ৩০১ জন প্রবাসী গ্রেপ্তার এবং ২৪৯ জন কুয়েত প্রবাসীকে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নোভা