
ছবি: সংগৃহীত
আপনি কি প্রায়ই ক্লান্ত অনুভব করেন? মেজাজ খারাপ থাকে? না ঘুমাতে পারার সমস্যায় ভুগছেন? এগুলো হতে পারে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ।
ম্যাগনেশিয়াম এমন এক খনিজ উপাদান যা শরীরের শত শত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এটি হৃদপিণ্ড, হাড়, মস্তিষ্ক ও পেশির সুষ্ঠু কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিনের চাহিদামতো ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করছেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সী নারীদের জন্য দৈনিক ৩১০ মিলিগ্রাম ও পুরুষদের জন্য ৪০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩১ বছর পেরুলে এই চাহিদা আরও কিছুটা বাড়ে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এ মাত্রার অর্ধেকও গ্রহণ করছেন না।
ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির ১০টি সাধারণ লক্ষণ:
১. দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া বা ব্যায়ামে অক্ষমতা
২. মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতা
৩. পেশিতে খিঁচুনি বা ঝাঁকুনি
৪. সবসময় ক্লান্ত বোধ করা
৫. উচ্চ রক্তচাপ
৬. নিদ্রাহীনতা বা ঘুমে ব্যাঘাত
৭. অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
৮. হাড় দুর্বল হয়ে পড়া
৯. মনোযোগের ঘাটতি বা ব্রেইন ফগ
১০. ঘন ঘন টানাপোড়েনের অনুভূতি
কীভাবে বাড়াবেন ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ?
ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি রোধে প্রতিদিনের খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলেই যথেষ্ট। নিচের খাবারগুলো নিয়মিত রাখুন খাদ্যতালিকায়:
- কুমড়োর বিচি
- চিয়া সিড
- কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, চিনাবাদাম
- পালং শাক
- সয়াবিন দুধ
- শস্যজাত খাবার যেমন গোটা গমের রুটি ও পাস্তা
- ডার্ক চকলেট
এছাড়াও খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড ফুড কমিয়ে দিয়ে ফলমূল, সবজি, বাদাম ও দানাশস্যের পরিমাণ বাড়ালে কেবল ম্যাগনেশিয়াম নয়, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিও পাওয়া যাবে সহজেই।
ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি অল্প হলেও তা বড় অসুবিধার কারণ হতে পারে। আপনার যদি উপরের যেকোনো লক্ষণ থাকে, তবে একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিন। খাবারের মাধ্যমেই সহজে পূরণ করা যায় এই পুষ্টি উপাদান, তবে প্রয়োজনে সম্পূরক গ্রহণ করা যায়।
মুমু