
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আহসান লিমন ছুটি না নিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। একইসাথে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠনের একজন প্রভাবশালী সাবেক নেতা হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, মাহমুদুল আহসান লিমন গত ১৩ মে থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। গুঞ্জন রয়েছে, তিনি কোনো অনুমতি ছাড়াই বিদেশে গেছেন। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, তিনি দেশেই অবস্থান করছেন।
এর আগে ৪ মে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মামলায় তাকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত জুলাই-আগস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণে তিনি জড়িত ছিলেন। মামলাটি করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. আশিকুর রহমান।
ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিরোধী মতের অনেক শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নিপীড়ন, হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হাসান প্রধান বলেন, “ছাত্রলীগের যেসব সন্ত্রাসী নেতারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”
আইন অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ ইরফান আজিজ বলেন, “তিনি আমাকে মৌখিকভাবে ছুটির কথা বলেছিলেন। আমি লিখিত আবেদন করতে বললেও তিনি তা করেননি। আমি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, “২১ মে তাকে ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকার জন্য শোকজ করা হয়েছে। কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নুসরাত