
ছবি: সংগৃহীত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন শুধুমাত্র ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নয়—এটি বর্তমানের বাস্তবতা। বিশেষ করে ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটির মতো যন্ত্রবান্ধব টুলগুলো মানুষকে নতুনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আজ অনেকেই ঘরে বসেই চ্যাটজিপিটির সহায়তায় মাসে ৫০,০০০ বা তারও বেশি উপার্জন করছেন।
আপনি যদি সৃজনশীল হন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলে আপনিও এই সম্ভাবনার অংশ হতে পারেন। নিচে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ঘরে বসে উপার্জন করার ১০টি কার্যকর পন্থা তুলে ধরা হলো।
১. স্বাধীন পেশাজীবী কনটেন্ট লেখালিখি
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে দ্রুত ব্লগ, প্রবন্ধ, ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু তৈরি করা যায়। এই ধরনের সেবার চাহিদা ফাইভার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম-এর মতো স্বাধীন কর্মসংস্থানের ওয়েবসাইটে ব্যাপক।
২. ইউটিউব ও স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিওর জন্য স্ক্রিপ্ট লেখা
অনেক ভিডিও নির্মাতা স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য লেখক খোঁজেন। চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সহজেই আকর্ষণীয় ভিডিও স্ক্রিপ্ট তৈরি করে এই ক্ষেত্রে কাজ করা যায়।
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়বস্তু ব্যবস্থাপনা
ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক কিংবা লিংকডইন-এর জন্য পোস্ট, শিরোনাম, হ্যাশট্যাগ প্রভৃতি তৈরি করে ক্লায়েন্টদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার কাজ করা সম্ভব।
৪. ই-বই ও নির্দেশিকা লেখা
যেকোনো বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ হলে, চ্যাটজিপিটির সহায়তায় একটি ই-বই বা নির্দেশিকা লিখে তা অ্যামাজন কিন্ডল বা অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করে বিক্রি করা যায়।
৫. গ্রাহক সহায়তা বা কথোপকথনকারী যন্ত্র তৈরি
ছোট ও মাঝারি ব্যবসাগুলোর জন্য যন্ত্রনির্ভর কথোপকথনকারী (চ্যাটবট) এখন অত্যন্ত দরকারি হয়ে উঠেছে। চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে আপনি বুদ্ধিমান চ্যাটবট তৈরি করে দিতে পারেন।
৬. অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি
চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পাঠ্যক্রম পরিকল্পনা, পাঠ বিভাগ, প্রশ্নোত্তর প্রভৃতি তৈরি করে নিজস্ব অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স নির্মাণ করে তা বিক্রি করা যায়।
৭. অনুবাদ ও ভাষান্তর সেবা
বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদে চ্যাটজিপিটি কার্যকরভাবে সাহায্য করতে পারে। ফলে অনুবাদক হিসেবে উপার্জন সম্ভব।
৮. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরামর্শ সেবা
অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এখনো জানেন না কীভাবে এআই টুল ব্যবহার করতে হয়। আপনি তাদের পরামর্শ দিয়ে বা সেটআপ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
৯. ব্লগ বা অনলাইন সংবাদ পোর্টাল চালানো
নিজস্ব ব্লগ বা সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট পরিচালনা করে চ্যাটজিপিটির সহায়তায় নিয়মিত বিষয়বস্তু তৈরি করে গুগল বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েট বিপণন কিংবা পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে আয় করা যায়।
১০. ডিজিটাল বিপণন ও অনুসন্ধান-ইঞ্জিন-বান্ধব লেখা
অনুসন্ধানযোগ্য শব্দের ভিত্তিতে বিষয়বস্তু তৈরি করে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে এগিয়ে রাখার জন্য কাজ করা যায়। চ্যাটজিপিটি এই কাজে অত্যন্ত কার্যকর।
চ্যাটজিপিটি এখন শুধুমাত্র কথোপকথনের একটি যন্ত্র নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ উপার্জনের মাধ্যম। আপনি যদি এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখেন, তাহলে ঘরে বসেই একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে গড়ে তুলুন নতুন যুগের উপযোগী একজন স্বাধীন পেশাজীবী হিসেবে।
নুসরাত