
ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানঘাঁটি হঠাৎ করেই পরিণত হয়েছে একটি কূটনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে। ভৌগোলিকভাবে ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের নিকটে অবস্থিত এই ঘাঁটি সচল করার উদ্যোগে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে নয়াদিল্লি। বিশেষ করে চীনের সম্ভাব্য জড়িত থাকার আশঙ্কায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম NDTV এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি পুনরায় চালু হলে সেখানে চীনা সামরিক উপস্থিতি দেখা যেতে পারে—রাডার, যুদ্ধবিমান, এমনকি সেনা সরঞ্জামসহ। এরই প্রতিক্রিয়ায় ভারত ত্রিপুরার উত্তরাঞ্চলের পরিত্যক্ত কৈলাশহর বিমানবন্দর সচল করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একপ্রকার কৌশলগত পাল্টা পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে লালমনিরহাটে সম্ভাব্য চীনা প্রভাবের মোকাবেলা করা হবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চীন ও পাকিস্তানঘেঁষা মনোভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। ফলে দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সম্ভাব্য সংঘাতের আভাস দিচ্ছে।
তবে এখনো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের সহযোগিতায় বিমানঘাঁটি সচলের বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।
আসিফ