ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বৃষ্টিতে ফাঁকা গরুর হাট, হতাশ বিক্রেতারা 

মামুন হোসাইন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, চরফ্যাশন (ভোলা)

প্রকাশিত: ২২:৪৮, ২৯ মে ২০২৫

বৃষ্টিতে ফাঁকা গরুর হাট, হতাশ বিক্রেতারা 

গ্রীষ্মের শেষপ্রান্তে কোরবানির মৌসুম ঘনিয়ে এলেও ভোলার চরফ্যাশনে গরুর হাটে যেন নেমে এসেছে নিরবতা। টানা বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ার কারণে জমেনি উপজেলার তিনটি বৃহৎ গরুর হাট—ভুইঁয়ারহাট, চেয়ারম্যান বাজার ও বদ্দারহাট।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা কয়েকজন বিক্রেতা গরু নিয়ে উপস্থিত থাকলেও ক্রেতার দেখা নেই বললেই চলে।

প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে হাটে গরু আনা-নেওয়া হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য। কাদা ও জলাবদ্ধ রাস্তায় গরু নিয়ে আসতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। 

গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, “সকালে গরু নিয়ে রওনা হয়েছি, কিন্তু হাটে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাদা মাড়াতে হয়েছে। এত কষ্ট করে এসেও ক্রেতার দেখা নেই।"

হাটের পরিবেশও বিক্রির অনুপযোগী। আশ্রয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজে কষ্টে দাঁড়িয়ে আছে গরুগুলো। হাটে নেই কোনো পর্যাপ্ত ছাউনি বা দোকানপাট।

ব্যবসায়ীরা জানালেন, গরু ফেলে দূরে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাধ্য হয়ে কাদামাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

অন্যদিকে, যেসব ক্রেতা এসেছেন তারাও হতাশ। চরফ্যাশনের স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, “গরু দেখতে এসেছিলাম, কিন্তু হাটের অবস্থা খুবই খারাপ। বৃষ্টি আর কাদায় ভালোভাবে গরু দেখা বা দরদাম করাও সম্ভব হচ্ছে না।” তিনি আরও বলেন, “একটু ভালো গরুর খোঁজ পেলেও পরিবেশের কারণে এখনই কেনার সাহস করছি না।”

বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, কিছু লোক হাটে এলেও কেবল দরদাম করে চলে যাচ্ছেন, কেউ গরু কিনছেন না। ফলে বাজারে কার্যত কোন লেনদেনই হচ্ছে না।
তবে আশাবাদী অনেকে।

 বিক্রেতা মনিরুজ্জামান বলেন, “আবহাওয়া যদি একটু ঠিক হয়, তাহলে আবারও হাটে ভিড় বাড়বে। শেষ দিকে পশু বিক্রি ভালো হবে বলেই বিশ্বাস করছি।”

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, সামনে কয়েকদিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জমে উঠবে গরুর হাট, ফিরবে কেনাবেচার রমরমা। তবে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের যেমন ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি ভোগান্তিতে পড়তে পারেন সাধারন ক্রেতারাও।

 

রাজু

×