
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।
আসন্ন ঈদ-উল আযহায় নারীর টানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের লাখো মানুষ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ব্যবহার করেই গন্তব্যে আসেন। কিন্তু সেই সরু মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বরিশাল সদর পর্যন্ত প্রায় ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও বিটুমিন উঠে মহাসড়কের মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের জিরো পয়েন্টের মহাসড়কের বিটুমিন উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
এ রুটে চলাচল করা সাকুরা পরিবহনের চালক জাকির কাজী বলেন, “টরকী বাসস্ট্যান্ডে সড়কের মধ্যে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গাজুড়ে বিটুমিন উঠে যাওয়ার কারণে নিম্নমানের ইট বিছিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করা হয়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাও উঠে গেছে। ফলে ওইসব জায়গা এখন চরম বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এছাড়া রাস্তায় বিভিন্নস্থানে উঁচু-নিচু টিউমারের মতো ঢেউ উঠেছে। যা যানবাহনের গতিতে প্রভাব ফেলছে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গাড়ির চাকা গর্তে পরলে হঠাৎ ব্রেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।”
গৌরনদী হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ব্যস্ততম এ মহাসড়কে ছোট-বড় দশটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ বার্থী বাসস্ট্যান্ডে শাহারিয়া নামের এক কলেজ ছাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিবহণ চালক আমির হোসেন বলেন, “এমনিতেই ব্যস্ততম এ মহাসড়কের ভাঙা থেকে বরিশাল পর্যন্ত সরু মহাসড়ক। তার মধ্যে এখন খানাখন্দে একাকার। সাধারণত ঈদকে ঘিরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেই তুলনায় মহাসড়কের খানাখন্দ সংস্কারে এখনও তেমন কোনো দৃশ্যমান প্রস্তুতি না নেয়ায় এ মহাসড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে।”
এ রুটে প্রতিনিয়ত চলাচলরত পরিবহনের চালকরা ঈদের আগে মহাসড়কের খানাখন্দের অংশ জরুরি সংস্কারের দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, “ঈদের আগে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হবে।”
মিরাজ খান