ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরে সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুহাটের পাশে নতুন করে আরও একটি হাট বসানোর ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে রসুলপুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রথমে আঞ্চলিক সড়কে এবং পরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে গিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ অবরোধে মহাসড়কে তীব্র যানজট ও সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মহাসড়কের পাশে কোনো ধরনের পশুহাট বসানো নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও মাত্র ৫১ হাজার টাকায় একটি হাটের ইজারা পেয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, একটি মহল রসুলপুর মাদ্রাসা, শিক্ষার্থী ও এতিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বলেন, একটি অনুমোদিত হাটের পাশে আরেকটি হাট বসালে যেমন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়বে মাদ্রাসা ও এতিমখানা। তাছাড়া সরকারি জায়গা ও ব্যস্ত সড়কে হাট বসানো আইনগতভাবেও ভুল।
এ বিষয়ে তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও হাটের ইজারাদার খোরশেদ জমিদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে সদস্য সচিব হাজী সামিউল্লাহ বলেন, আমরা জনসাধারণের বাহিরে গিয়ে এই হাটটি করতে নিষেধ করেছি, সে মানেনি এটি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া বলেন, লিচু মিয়া সুপার মার্কেট সংলগ্ন জায়গাতেই হাট বসতে হবে। মহাসড়ক বা এমন কোনো স্থানে হাট বসতে দেওয়া হবে না, যেখানে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। যারা হাটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে, তারা নিজেদের স্বার্থে এমনটি করছে। তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ দেওয়া হবে। যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের ইজারা বাতিল করা হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নতুন ইজারাপ্রাপ্ত হাট কর্তৃপক্ষ মহাসড়ক থেকে বাঁশের খুঁটি সরিয়ে নিয়েছে।
রিফাত
