ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভূমি অফিসকে কঠোর নির্দেশনা, ভূমি সেবায় দুর্নীতি রোধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:০০, ১ জুন ২০২৫

ভূমি অফিসকে কঠোর নির্দেশনা, ভূমি সেবায় দুর্নীতি রোধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

ছবিঃ সংগৃহীত

ভূমি মালিকদের দ্রুত, কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্তদ্বয় বাস্তবায়নে দেশের সকল এসিল্যান্ড (ভূমি অফিস) কে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম সিদ্ধান্ত: খতিয়ান সংশোধনের সহজতর প্রক্রিয়া
ভূমি মালিকদের খতিয়ানে নাম, দাগ নম্বর, জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য যদি clerical (করণিক) ভুলের কারণে ভুল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে এখন থেকে সরাসরি ভূমি অফিসে আবেদন করেই তা সংশোধন করা যাবে। এজন্য আদালতে যেতে হবে না, যা সময়, অর্থ ও হয়রানি থেকে মালিকদের রক্ষা করবে। সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নির্ধারণ করে ১২-১৩টি সংশোধনযোগ্য তথ্যের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন – সঠিক নাম/দলিল/ওয়ারিশান সনদ ইত্যাদি জমা দিতে হবে।

ভূমি অফিস যদি কোনো ভুল সংশোধন না করে বা অযথা আবেদন বাতিল করে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত: ওয়ারিশানদের যৌথ খতিয়ান বাধ্যতামূলক
নামজারির ক্ষেত্রে ওয়ারিশরা যদি নিজেরা সম্পত্তি ভাগ করে বাটোয়ারা দলিল না করেন, তাহলে তাদের সবাইকে যৌথভাবে নামজারির আবেদন করতে হবে। এককভাবে কারও নামে খতিয়ান তৈরি করা যাবে না।
ওয়ারিশান সনদ অবশ্যই সঠিক হতে হবে এবং কোনো ওয়ারিশ বাদ গেলে তা বাতিলযোগ্য হবে। যৌথ খতিয়ানে কেবল কে কত অংশ পাবেন তা উল্লেখ থাকবে, কে কোন জায়গা ভোগ করবেন তা থাকবে না।

এছাড়া, নিজের নামে একক খতিয়ান পেতে চাইলে অবশ্যই সকল ওয়ারিশের মধ্যে বাটোয়ারা দলিল সম্পাদন করে তা রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধন করতে হবে এবং তা দিয়ে ভূমি অফিসে আবেদন করতে হবে।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

  • অপ্রতুল কাগজপত্র থাকলে ভূমি অফিস কোনো আবেদন বাতিল করতে পারবে না; বরং আবেদনকারীকে সময় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
  • কোনো আবেদন কেবলমাত্র মিথ্যা বা জাল প্রমাণিত হলে তবেই বাতিল করা যাবে।

উপকারভোগী কারা?
এই সিদ্ধান্তগুলোর ফলে ভূমি মালিকরা এখন:

  • সহজে খতিয়ান সংশোধন করতে পারবেন,
  • আদালতের হয়রানি ও খরচ থেকে রেহাই পাবেন,
  • নামজারি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা পাবেন।

সতর্কতা ও সচেতনতা:
ভূমি মালিকদের যথাযথ দলিল, ওয়ারিশান সনদ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
 

মারিয়া

×