
পদ্মার ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন, হুমকিতে কবরস্থান ও বসতবাড়ি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজানি ও মুন্সিবাজার এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে পদ্মা নদীর ভাঙন। এতে প্রতিদিনই ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ ও একাধিক পরিবার।
ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষেরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। আতঙ্কে কাটছে তাদের প্রতিটি রাত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মুন্সিবাজার ও কাউয়াজানি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে নদী গিলছে ফসলি জমি ও বসতভিটা।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মোল্লা জানান, মাত্র দুই দিনের নদীভাঙনে তার পাট ও ধানের ১০ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। যেখানে আগে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল সেখানে ভাঙন থেমে থাকলেও পাশের অংশে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগ না ফেললে গোটা এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
দেবগ্রাম মুন্সিপাড়ার খবির সরদার (৬০) জানান, এক সময় তার ৫ বিঘা ফসলি জমি ছিল। আগের ভাঙনে তা কমে সোয়া বিঘায় দাঁড়িয়েছিল।
গত রবিবার ও সোমবারের ভাঙনে সেটুকুও নদীতে হারিয়ে গেছে। এখন তিনি পুরোপুরি ভূমিহীন হয়ে পরিবার নিয়ে পাড়ে একটি ছাপড়াঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আরেক বাসিন্দা লোকমান সরদার (৫৫) জানান, তার ১০ বিঘার মধ্যে বিগত কয়েক বছরে ৮ বিঘাই নদীতে চলে গেছে। বাকি ২ বিঘা জমিও গত ২-৩ দিনে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন জনকণ্ঠকে জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয়রা দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পদ্মার গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে গোটা জনপদ।
তাসমিম