ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঈদগাহ, মহাসড়ক, সড়ক, চামড়া হাট, বাজার, ব্যাংকে লেনদেন, জাল টাকা প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন যানবাহনে আসা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যশোর জেলা পুলিশ। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশের সূত্র মতে, যশোরের গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোতেও পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একাধিক টিম ঈদগাহের আশপাশে থাকবে। এছাড়া শহর ও শহরতলীর প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থাকবে চেকপোস্ট। বেপরোয়া গতিতে কেউ যাতে মোটরসাইকেল বা যেকোনো ধরনের যানবাহন চালিয়ে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে বেশি নজর রাখা হবে। সব ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেশি টাকা লেনেদেনের ক্ষেত্রে পুলিশকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। টাকা গণনার ক্ষেত্রে মেশিন ব্যবহার করতে হবে।
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী ও সময় উপযোগী দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। দক্ষিণবঙ্গের সব চেয়ে বড় চামড়ার বাজার রাজারহাটেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ও কোরবানির গরু বহনকারী গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে। সেক্ষেত্রে জেলা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ সংযুক্ত থাকছে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যাতায়াতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সাদা ও ইউনিফর্মধারী পুলিশ মাঠে থাকবে।
ঈদ উপলক্ষে জাল টাকা প্রতিরোধে প্রতারকচক্র ধরতেও জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। আর এসব নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলার সব থানা, ক্যাম্প ও ফাঁড়িসহ সব পুলিশ স্টেশন একযোগে কাজ করবে। প্রতারকচক্র বা কোনো সন্ত্রাসীদের দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ স্টেশনকে অবহিত করবে। ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়িতে চুরি রোধে মোবাইল ও পেট্রোল টিম কাজ করবে।
পুলিশের এসব টিমের মধ্যে রয়েছে ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল টিম, পিকেট টিম, বাইক মোবাইল ডিউটি টিম। ৮টি উপজেলার পাশাপাশি শহর ও শহরতলীর অপরাধপ্রবণ এলাকা নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে যশোরের জেলা পুলিশ।
যশোর শহর এবং শহরতলীতে ২৮টি মোবাইল টিম কাজ করবে, যারা শহরের প্রধান সড়ক, অলিগলি এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল দেবে। চুরি, ছিনতাই ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে ৪টি বিশেষ পিকেট টিম এবং ৭টি ফুট প্যাট্রোল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও জোরদার করা হয়েছে। যশোরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ দল মোতায়েন থাকবে, যাতে অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায় এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেছেন, শহরের যানজট কমানোর জন্য ট্রাফিক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে ব্যবসায়ী, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সদস্যদেরও পবিত্র ঈদে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও থেকে কোনো ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেনো তারা কার্যকর ব্যবস্থা নেন সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মতিন গাজী/রাকিব
