
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামে উট কোরবানির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তবে অনেকেই এই মহান ইবাদত সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করতে না জানার কারণে ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে উট কোরবানির সুনির্দিষ্ট নিয়ম বর্ণিত হয়েছে।
উট কোরবানির বিশেষ বিধান:
-
সাধারণ পশুর মতো জবাই না করে নহর (বিশেষ পদ্ধতিতে জবাই) করা সুন্নত
-
দাঁড়ানো অবস্থায় কোরবানি করতে হবে, শুইয়ে নয়
-
পায়ের বাঁ দিকের হাঁটু বেঁধে রাখতে হবে
-
গলার নিচের অংশে একটানা শক্ত আঘাত করতে হবে
হাদিসের দলিল:
রাসুলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজে ৬৩টি উট নিজ হাতে নহর করেছেন (ইবনে মাজাহ: ৩০৭৬)। ইবনে উমর (রা.) এক ব্যক্তিকে উট শুইয়ে জবাই করতে দেখে বলেছিলেন, "এটিকে দাঁড় করিয়ে নহর করো, এটাই মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত" (আবু দাউদ: ১৭৬৮)।
কুরআনের নির্দেশনা:
"সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান অবস্থায় সেগুলোর ওপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো" (সূরা হজ: ৩৬)। এ আয়াত দ্বারা উট দাঁড় করিয়ে কোরবানির নির্দেশ পাওয়া যায়।
সঠিক পদ্ধতি:
১. উটকে দাঁড় করিয়ে বাঁ পায়ের হাঁটু বেঁধে রাখুন
২. "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার" বলে গলার নিচে শক্ত আঘাত করুন
৩. রক্ত প্রবাহিত হতে দিন, উট নিজেই পড়ে যাবে
৪. নড়াচড়া বন্ধ হলে চামড়া ছাড়ানসহ অন্যান্য কাজ করুন
বিশেষ নোট:
-
নহরের পর উট চিৎকার করলে বা লাফালাফি করলে ভয় পাবেন না
-
একান্তই নহর করতে অক্ষম হলে সাধারণভাবে জবাই করলেও কোরবানি শুদ্ধ হবে
-
উটের মাংস গরীব-মিসকিনদের মধ্যে বিতরণ করা জরুরি
ইসলামী স্কলাররা মনে করেন, উট কোরবানির এই বিশেষ পদ্ধতি পালন করলে ইবাদতের পূর্ণাঙ্গ সওয়াব পাওয়া যাবে। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য উট কোরবানি করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ, তবে অবশ্যই সুন্নত পদ্ধতিতে তা আদায় করতে হবে।
সাব্বির