
ছবি:সংগৃহীত
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ক্রিমিয়া সেতুতে সমুদ্রপথে হামলা চালানোর পর পাল্টা জবাব দিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের বাহিনী খারকিভ, দোনেৎস্ক, জাপরিঝিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা সুমি অঞ্চলের আরও একটি বসতি দখল করেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও জবাব দিতে পিছপা হয়নি। রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে রকেট ও ড্রোন হামলা। রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই ইউক্রেনীয় বাহিনী ২০০-রও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে, যদিও তাদের দাবি, বেশিরভাগ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার ফোনে কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ইস্যুতে তাদের ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে, তবে প্রায় একঘণ্টাব্যাপী এই ফোনালাপ তাৎক্ষণিকভাবে শান্তি আনবে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। পুতিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া অবশ্যই জানাবে রাশিয়া।
একইদিন, রুশ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুতিন ব্রায়ান্সক ও কুরস্কে হওয়া হামলাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বর্তমান প্রশাসন প্রকৃত অর্থে শান্তি চায় না। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রাশিয়া কিভাবে আলোচনা করবে, এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুতিন। তার দাবি, শান্তি আলোচনা চললেও সংঘাত উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা। এদিন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ঘোষণা করেন, কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্থ ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে জোট। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরিতেও সহযোগিতা করবে বলে জানানো হয়।
আঁখি