
ছবিঃ সংগৃহীত
মরক্কোর ধর্মীয় নেতা রাজা মোহাম্মদ ষষ্ঠ ঘোষণা দেন যে ঈদুল আজহার কোরবানি স্থগিত করা হবে, কারণ সাত বছরের খরার ফলে দেশটির গবাদি পশুর সংখ্যা ৩৮% কমে গেছে। পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক চাপ জনগণের জন্য কোরবানি পালনকে কঠিন করে তুলেছে।
সরকার দেশজুড়ে পশুহাট বন্ধ এবং পশু জবাই নিষিদ্ধ করেছে, যাতে প্রজনন উপযোগী পশু সংরক্ষণ করা যায়। কৃষক ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকার ৬.২ বিলিয়ন মরক্কান দিরহাম ব্যয়ে পুনর্গঠন প্রকল্প চালু করেছে এবং ২০২৫ সালের বাজেটে মাংস আমদানির ওপর শুল্ক স্থগিত করেছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া মিশ্র হলেও অনেকেই এই উদ্যোগকে মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছেন। রাজা মোহাম্মদ ষষ্ঠ ব্যক্তিগতভাবে প্রতীকী কোরবানি করবেন, যা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐতিহ্য অনুসরণ করে জনকল্যাণের বার্তা পৌঁছে দিতে নেওয়া হয়েছে।
ঈদ উদযাপনে জনগণকে দান-খয়রাত, খাদ্য বিতরণ এবং পারিবারিক মিলনমেলার উপর গুরুত্ব দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে ঈদ একতার, দায়িত্ববোধ ও সহমর্মিতার প্রতীক হয়ে ওঠে।