
দৈনিক জনকণ্ঠ
মাত্র এক হাজার টাকার জন্য পাষণ্ড স্বামী মাদকসেবী রাসেল স্ত্রীকে তুলে দেয় তিন নরপশুর কাছে মাদকসেবী স্বামী নরপশু রাসেল ওরফে রানা (৩০) মাত্র এক হাজার টাকার লোভে ১৭ বছর বয়সী নিঃসন্তান স্ত্রী হালিমা বেগমকে তিন ধর্ষকের কাছে তুলে দেয়।
কলাপাড়া পৌরশহরের রহমতপুর মহল্লার একটি নির্মাণাধীন পরিত্যক্ত ভবনে আটকে হালিমাকে রাতভর ওই তিন বর্বর নরপশু পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় হালিমার মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়- যেন সে ডাকচিৎকার করতে না পারে। এক পর্যায়ে হতভাগী পাশবিক নির্যাতনে অচেতন হয়ে যায়।
তারপরও শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এক পর্যায়ে পাশের ময়লা আবর্জনার স্তূপে খালের মধ্যে হালিমার মৃত দেহ ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনার দুইদিন পরে স্থানীয়রা দুর্গন্ধ পায়। পচন ধরা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ৭ মে সকালে অভাগি হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে শনাক্ত হয়। ওই রাতেই পুলিশ পাষণ্ড স্বামী নরপশু রাসেলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে রাসেলের সহযোগী শুভ হাওলাদার (২৩), মো. জালাল (৪৫) ও মাসুমকে (২২) গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা রাশিদা বেগম কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। বর্তমানে আসামিরা জেল হাজতে রয়েছে। পুলিশ মাদকসেবী রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসব নৃশংস খবর নিশ্চিত করেন।
আজ শুক্রবার কলাপাড়া বড় জামে মসজিদে জুমার নামাজের খুতবার আগে মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে পুলিশকে সহায়তার আহŸঅবস্থান জানিয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইলিয়াস তালুকদার শরীর শিউরে ওঠার মতো এমন তথ্য উপস্থাপন করেন।
মাদকসেবী রাসেল ওরফে রানা তার কিশোরী বয়সী নিঃসন্তান স্ত্রীকে মাত্র এক হাজার টাকায় তিন নরপশুর কাছে তুলে দিয়েছিল।
মাদকসেবীরা কতটা বর্বর, নৃশংস কিংবা বিপজ্জনক হতে পারে তার একটি জ¦লন্ত উদাহরণ দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ম্দকসেবী পরিবার-পরিজন, স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা কারো কাছেই নিরাপদ নয়। তাই মাদকসেবীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি সকলের সহায়তা চেয়েছেন।
জানা গেছে, নিহত হালিমা নিঃসন্তান ছিল। তার পরিবার নিতান্ত দরিদ্র। আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাতাকাটা গ্রামে বাড়ি। দেড় বছর আগে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্বামী ভবঘুরে মাদকাসক্ত। তারা কলাপাড়া পৌরসভায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
হ্যাপী