
ছবিঃ সংগৃহীত
নোবেলজয়ী ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যে ঈদ-উল-আযহার পর সফরের সময়, আগামী ১২ জুন কিং চার্লস তৃতীয়ের পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে সম্মানজনক 'হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫'।
২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কারটি ব্রিটিশ রাজপরিবার-সংলগ্ন দাতব্য সংস্থা **দ্য কিংস ফাউন্ডেশন**-এর উদ্যোগে চালু হয়। এই পুরস্কারের মাধ্যমে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়, যারা প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবনযাপন এবং কাজ করার দর্শনকে ধারণ করে।
এই পুরস্কারের মূলনীতি হলো: “প্রকৃতির বিরুদ্ধে নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে কাজ করা উচিত।” এই দর্শনের ভিত্তিতে, হারমনি অ্যাওয়ার্ডস পরিবেশবান্ধব ব্যবসা, টেকসই উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী শিল্পচর্চা ও পরিবেশ সচেতনতা—এই চারটি মূল বিষয়ে অবদান রাখাদের স্বীকৃতি দেয়।
পুরস্কারের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালে, যেখানে সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই সম্মাননা প্রথমবারের মতো লাভ করেন তার টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়নে আজীবন অবদানের জন্য।
তৎকালীন অন্য প্রাপক ছিলেন খাদ্য সচেতনতায় অবদান রাখা জেমি অলিভার—যিনি ‘অ্যাডভোকেট অব দ্য ইয়ার’ হন। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্ভাবনী উদ্যোগ, পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান ও তরুণ উদ্যোক্তারাও পুরস্কৃত হন।
এই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিরা অংশ নেন, যেমন: ডেভিড বেকহ্যাম, সিয়েনা মিলার, স্যার রড স্টুয়ার্ট ও নাওমি ক্যাম্পবেল। শুধু পুরস্কার প্রদান নয়, এই আয়োজনের অংশ হিসেবে থাকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রকৃতির সংযোগকে ঘিরে বিভিন্ন ইন্টারঅ্যাকটিভ প্রদর্শনী।
দারিদ্র্য বিমোচনে মাইক্রোক্রেডিট ও সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বে প্রথম চালু করা ড. ইউনূসের জন্য এই পুরস্কার তার দীর্ঘদিনের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে কাজ করার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
এই পুরস্কারের মাধ্যমে কিং চার্লস একটি বৈশ্বিক আলোচনার সূত্রপাত ঘটাতে চান—যেখানে টেকসইতা ও প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পায়।
মুমু