
ছবি: জনকণ্ঠ
সড়ক মানেই যান চলাচলের মাধ্যম। মানুষের পদচারণা থাকবে। যোগাযোগকে সহজ করে দেবে। কিন্তু এখানে তার ব্যতিক্রম। কারণ বর্ষা এলেই দুই কিলোমিটার সড়ক ডুবে যায়। নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার জনপদগুলো মৌসুমে মৌসুমে রূপ পাল্টায়। শুকনো মৌসুমে সবুজের সমারোহ। বর্ষায় অথৈ জলরাশি। ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটি গ্রাম। সামান্য বাতাসেই ঢেউয়ের নাচন। রাতের জোছনায় চিকচিক করে জলরাশি।
জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত অনেকটাই সমুদ্রের মতো দেখায়। ছোট নৌকা আর ট্রলার নিয়ে দিনভর দাপিয়ে বেড়ায় পর্যটকরা। বিশাল জলরাশির বুকে বিচ্ছিন্ন ছোট ছোট গ্রাম। হাওরজুড়ে গলা ডুবিয়ে থাকা হিজল গাছের সারি মুহূর্তেই মন ভালো করে দেয়। নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অবস্থিত উচিতপুর হাওর। হাওরের বালই নামক ব্রিজের দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার ডুবন্ত সড়ক, যা সৌন্দর্যের মূল আকর্ষণ হয়ে ওঠে পর্যটকদের কাছে।
হাঁটুপর্যন্ত ডুবন্ত এ সড়কে দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে হয় সৌন্দর্য। যতদূর চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। পানির নিচে পিচঢালা পথ। পানিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশের খুঁটিগুলো ধরে হেঁটে যাওয়ার প্রশান্তি পাবেন উচিতপুর হাওরে। সময়টুকু আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে হাওরের ঢেউগুলো। এছাড়া পানিতে দাঁড়িয়ে দেখা হাওরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। উপভোগ করতে পারবেন জলরাশির ওপর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।
মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নেত্রকোনার মদন উপজেলায় যেতে পারবেন। মদন থেকে উচিতপুর। হাওর ঘুরতে ট্রলার ভাড়া নিতে হবে। উচিতপুর হাওরে গিয়ে ট্রলারে বা নৌকায় উঠলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করবেন। কারণ আপনার আনন্দভ্রমণ যেন কখনোই সারাজীবনের কান্না না হয়ে ওঠে।
উপজেলায় তেমন থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও নেত্রকোনা শহরে একাধিক আবাসিক হোটেল আছে।
মুমু