
ছবি: সংগৃহীত
আর মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই কোরবানির পশুর হাটগুলো রীতিমতো রূপ নিয়েছে উৎসবের মঞ্চে। রাজধানীর বিভিন্ন হাটে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। গরুর উষ্ণ নিঃশ্বাস, সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরদামের কৌশলে সরগরম পুরো হাটপাড়া।
বিক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি ঝোঁক বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে চাহিদা অনুযায়ী এসব গরুর দাম কিছুটা চড়াও বলে অভিযোগ অনেকের।
এক ক্রেতা বলেন, ‘যেখানে একটা গরুর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হওয়া উচিত ছিল, সেখানে সেটা ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা চাচ্ছে। প্রায় ১ লাখ টাকার পার্থক্য। ছোট থেকে মাঝারি সাইজের গরুর দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। আর বড় গরুগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম।’
আরেকজন জানান, ‘আগে যেই গরু ১ লাখ টাকায় পাওয়া যেত, এখন সেটা ২০ হাজার টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।’
রাজধানীর গাবতলী, বসিলা, হেমায়েতপুর, এবং আমিনবাজারের মতো বড় হাটগুলোতে বড় আকারের অনেক গরু তোলা হয়েছে। তবে সে অনুপাতে দেখা যাচ্ছে না পর্যাপ্ত ক্রেতা। এতে করে বিক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
এক বিক্রেতা জানান, ‘যে দামে গরু তুলি সেই দামের ধারেকাছেও কেউ বলছে না। ক্রেতাও কম, বিক্রিও কম। আশানুরূপ দাম না পেয়ে অনেকেই গরু নিয়ে ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছেন।’
তবে সরবরাহ বাড়লেও এখনও পর্যন্ত বিক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। খামারি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার অনেক খরচ করে গরু হাটে তুলেছেন, কিন্তু উপস্থিতি ও দরদামের যে অবস্থা, তাতে লোকসানের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Hrj0uXK2ik0
রাকিব