ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাচ্চার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে ৫টি কার্যকর উপায়

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৫ জুন ২০২৫

বাচ্চার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়াতে ৫টি কার্যকর উপায়

ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা ধরণের ডিজিটাল ডিস্ট্র‍্যাকশন এবং চাপের মধ্যে পড়ে শিশুরা তাদের স্মৃতি ও শেখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ উপায়ে শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো এবং স্মৃতি শক্তি উন্নত করা সম্ভব। নিচে তুলে ধরা হলো এমনই ৫টি কার্যকর কৌশল—

১. অল্প অল্প করে শেখান, মনোযোগ বাড়বে
বাচ্চাকে কখনোই একসাথে অনেক কিছু শেখানোর চেষ্টা করবেন না। তার পরিবর্তে অল্প অল্প করে ধাপে ধাপে ইনফরমেশন দিন। বাড়ির পরিবেশটাও যেন থাকে 'জিরো ডিস্ট্র‍্যাকশন' অর্থাৎ পড়ার সময় টিভি, মোবাইল কিংবা অতিরিক্ত শব্দ যেন না থাকে। শিশু যত নিরিবিলি পরিবেশে পড়বে, তত সহজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে।

২. মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন, ছবি দিয়ে শেখা সহজ
পড়াশোনা শুধু মুখস্থ করলেই হয় না— বুঝতে শেখানো সবচেয়ে জরুরি। সেই জন্য বাচ্চাকে নিয়ে বিষয় সম্পর্কিত একটি মাইন্ড ম্যাপ তৈরি করুন। সেখানে মূল টপিককে ঘিরে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো ছবি, চিহ্ন বা রঙ ব্যবহার করে সাজিয়ে দিন। এতে করে শিশু পিকচারাইজ করতে পারবে এবং তথ্যগুলো সহজে মনে রাখতে পারবে।

৩. সময়মতো শুরু করুন, চাপ এড়ান
পড়াশোনায় দেরি নয়, সময়মতো শুরু করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। বাচ্চাকে যদি শুরু থেকেই ছোট ছোট অংশে পড়ানো যায়, তাহলে সে আর একসাথে অনেক কিছু মুখস্থ করতে বাধ্য হবে না। এতে চাপমুক্ত থেকে প্রতিদিন অল্প অল্প করে শিখতে পারবে এবং পরীক্ষার সময়েও থাকবে আত্মবিশ্বাসী।

৪. প্রশ্ন করুন, গল্প বলুন, খেলায় শেখান
শুধু পড়া নয়, বাচ্চাকে প্রশ্ন করে শেখান। প্রয়োজনে একটি মজার কুইজ বা ছবি দিয়ে কার্ড গেম খেলতে পারেন। গল্প বলার মাধ্যমে বাচ্চাকে সেই বিষয়টা বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে বুঝিয়ে দিন। এতে বাচ্চা শুধু মুখস্থই করবে না, বরং নিজে থেকেই বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারবে।

৫. বিরতি দিন, প্রশংসা করুন
একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ালে বাচ্চার মনোযোগ কমে যায়। তাই ছোট ছোট বিরতি দিন। পড়ার মাঝে ৫-১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা নাস্তা সময় দিন। পাশাপাশি বাচ্চা যেটুকু ভালো করছে, সেটা প্রশংসা করুন। ইতিবাচক মনোভাব শিশুর আত্মবিশ্বাস ও শেখার আগ্রহ বাড়ায়।

শিশুর শিক্ষা মানেই শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় আটকে রাখা নয়। তা হতে হবে আনন্দময়, মজার এবং শিশুর মানসিক গঠনের উপযোগী। এই পাঁচটি পদ্ধতি প্রয়োগ করলে অভিভাবকরা বাচ্চাদের পড়াশোনায় আরও বেশি আগ্রহী ও দক্ষ করে তুলতে পারবেন। মনে রাখবেন, শেখা হোক আনন্দের— চাপের নয়।

নোভা

×