
ছবি: সংগৃহীত
বছর ঘুরে এসেছে ঈদুল আযহা। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কাছে এ দিনটি আনন্দ ও উৎসবের। কিন্তু সেই ঈদের কোনো আনন্দ নেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায়। ঈদের দিনেও থেমে থাকেনি ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলা।
গাজার বিধ্বস্ত মসজিদগুলোর ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ফিলিস্তিনিরা। নড়বড়ে মিনার, উড়তে থাকা ধুলা আর বোমার আতঙ্ক নিয়েই তারা আল্লাহর দরবারে সিজদায় গেছেন। ঈদের নামাজ আদায়ের মুহূর্তেও মাথার ওপর চক্কর দিচ্ছে ড্রোন, আকাশে গর্জন করছে যুদ্ধবিমান।
একজন গাজাবাসী বলেন,
“উপত্যকায় চারটি ঈদ চলে গেল যুদ্ধের মধ্যে। এখন আমরা শুধু আহতদের খবর শুনি, দেখি যুদ্ধবিমান আর ট্যাংকের ভয়াল দখল। কোরবানি তো দূরের কথা, নিজের জীবন রক্ষা করতেই প্রতিমুহূর্তে যুদ্ধ করছি।”
বিশ্বের অন্যত্র যখন ঈদের ভোজে মুখরিত মানুষজন, তখন গাজার মানুষেরা খাবারের জন্যও হাহাকার করছেন। নেই পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই চিকিৎসা, এই বাস্তবতায় ঈদ উদ্যাপন নয়, বরং প্রতিদিনই তাদের কাছে টিকে থাকার সংগ্রাম।
ইসরাইলের আগ্রাসনের প্রভাব শুধু গাজা নয়, ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম তীরেও। সেখানে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে চড়া দামের বাজার আর স্বজন হারানোর শোকগাথায়। কোরবানির পশু কিনতে পারেননি অনেকেই।
একজন পশ্চিম তীরের বাসিন্দা জানালেন,
“যুদ্ধের আগে আধা কেজি মাংসের দাম ছিল ৩৫ সেকেল, এখন তা বেড়ে ২৩০ সেকেল! এত টাকা কোথা থেকে আনব?”
ঈদের দিনেও ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে। নারী-শিশু সহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাজার আশেপাশের এলাকা জুড়ে এখনও ধোঁয়া, ধ্বংসস্তূপ, আর স্বজন হারানোর হাহাকার।
আঁখি