ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভেজাল রোধে মৃত্যুদন্ড শাস্তির দাবি বিএসটিআই মহাপরিচালকের

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ৩ জুন ২০২৫

ভেজাল রোধে মৃত্যুদন্ড শাস্তির দাবি বিএসটিআই মহাপরিচালকের

ছবি:সংগৃহীত

বাংলাদেশে কোমল পানীয় বাজারে ভেজাল পণ্যের দৌরাত্ম্য উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এমন কিছু পণ্য যেগুলো আদৌ খাবার যোগ্য নয় বরং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

 

 

তিনি বলেন, এইসব ভেজাল পানীয়তে ব্যবহৃত হচ্ছে টেক্সটাইল রং, যা কখনোই খাদ্যগ্রহণের উপযোগী নয়। পরীক্ষার সময় দেখা যায়, পানীয় হাতে লাগলে তা দাগ ফেলে যা সহজে উঠেও না, যা খাদ্য গ্রেড রঙের ক্ষেত্রে হওয়ার কথা নয়। তদুপরি, এসব পানীয়তে ফলের পাল্প থাকার ন্যূনতম ১০% মান বজায় না রেখে কেবল পানি ও রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে।

 

এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, “মানুষ যদি বিবেকবান না হয়, কয়েক টাকার লোভে এ ধরনের ভেজাল কাজ করবেই।” তিনি যোগ করেন, অনেক ক্ষেত্রে এইসব পণ্য তৈরি হচ্ছে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, কিন্তু প্যাকেটে উল্লেখ করা হচ্ছে ভুয়া ঠিকানা, যেমন ধামরাই বা অন্য কোনো দূরবর্তী স্থান।

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, “এইসব ভেজাল পণ্যে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে, যেমন সিরাজগঞ্জে। এই ঘটনাগুলো শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতিই নয়, বরং দেশের সম্ভাবনাময় খাদ্য রপ্তানিখাতকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।” জনপ্রিয় ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য *প্রাণের 'ড্রিংকো'* এবং *আকিজের 'ফ্রুটিকা'*—এসবের নাম নকল করে বাজারে ভেজাল পণ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট করতে পারে।

 

 

বিএসটিআই মহাপরিচালক আরও বলেন, “আইনের দুর্বলতার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্যের কয়েকটি চালান বাজারে দিয়ে বিপুল লাভ করে নিচ্ছে। একটিমাত্র চালান ধরা পড়লেও তাতে তাদের লাভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।” তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পক্ষে মত দেন এবং বলেন, “চীনসহ অনেক দেশে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের জন্য মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হয়। আমাদের দেশেও শাস্তি আরও কঠোর হওয়া উচিত।”

 

 

তিনি জানান, বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং ফুড সেফটি অথরিটির সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। “তবুও প্রশ্ন উঠে, এত সংস্থা কাজ করলেও ভেজাল কেন থামছে না? এর উত্তর, সামাজিক সচেতনতার অভাব এবং আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা।”
 

 

 

 

সূত্র:https://youtu.be/IvCpbjOdTOg?si=-nOxz9CFYRSpNREA

আঁখি

×