
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের অনেকেই সকালে উঠে কর্মক্ষম ও সজাগ থাকতে চান, কিন্তু বাস্তবে খুব কম মানুষই তা করতে সক্ষম হন। সফল মানুষেরা কী এমন অভ্যাস অনুসরণ করেন যা তাদের এগিয়ে রাখে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এদের অধিকাংশরাই কিছু নির্দিষ্ট রাত্রিকালীন অভ্যাস অনুসরণ করেন যা তাদের পরদিনের জন্য তৈরি থাকতে সাহায্য করে।
এই অভ্যাসগুলো যেমন সহজ, তেমনি কার্যকর। আপনি যদি চান প্রতিটি সকাল হোক ফোকাসড, শান্ত ও সফল, তাহলে নিচের এই অভ্যাসগুলো আজ রাত থেকেই শুরু করুন—
১. 🌅 রাতেই পরদিনের পরিকল্পনা করুন
ঘুমানোর আগে মাত্র ৫–১০ মিনিট সময় নিয়ে পরদিনের জন্য প্রাধান্যভিত্তিক তিনটি কাজ লিখে রাখুন। কাপড় প্রস্তুত রাখা, খাবার তৈরি রাখা বা ক্যালেন্ডার চেক করাও এতে আসতে পারে। এতে করে সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপ কমে এবং আপনি দিন শুরু করবেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
২. 📵 ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে মোবাইল-ল্যাপটপ ছেড়ে দিন
স্ক্রিনের আলো মেলাটোনিন হরমোনকে বাধাগ্রস্ত করে, যা ঘুমে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে সকালে ক্লান্ত বোধ করেন। তাই ঘুমানোর অন্তত ৩০–৬০ মিনিট আগে ডিভাইস দূরে সরিয়ে দিন। বরং বই পড়ুন, জার্নাল লিখুন বা নিঃশব্দে বসে থাকুন— এতে মন শান্ত হবে ও ঘুম গভীর হবে।
৩. 👨👩👧👦 পরিবার বা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান
ব্যস্ত দিনের শেষে প্রিয়জনদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটানো মানসিক চাপ কমায়, সম্পর্ক মজবুত করে এবং মন ভালো রাখে। মানসিক শান্তিই ভালো ঘুম এবং প্রোডাক্টিভ সকালের ভিত্তি।
৪. 🧘♀️ একটি শান্তিপূর্ণ রাত্রিকালীন রুটিন গড়ে তুলুন
একটি “উইন্ড-ডাউন রিচুয়াল” তৈরি করুন যা আপনার শরীরকে ঘুমের সংকেত দেবে। হালকা স্ট্রেচিং, মেডিটেশন, স্নিগ্ধ সংগীত শোনা কিংবা হারবাল চা পান— যেটা আপনার মন-শরীরকে শিথিল করে, সেটাই করুন। এতে দ্রুত ঘুম আসবে এবং ঘুম হবে গভীর।
৫. ✍️ গ্র্যাচিটিউড জার্নালিং ও দিনের প্রতিফলন
ঘুমানোর আগে দিনে কী কী অর্জন করেছেন বা কিসের জন্য কৃতজ্ঞ তা লিখে ফেলুন। তিনটি ছোট জিনিস হলেও চলবে। এটি আপনার মন ভালো রাখবে, স্ট্রেস কমাবে এবং ঘুমানোর সময় নেতিবাচক চিন্তা দূর করবে।
রাতের সামান্য কিছু অভ্যাস আপনার সকালকে করে তুলতে পারে সুসংগঠিত, প্রশান্ত এবং অতুলনীয়ভাবে উৎপাদনক্ষম। আজ রাত থেকেই শুরু করুন— “স্মার্ট নাইট = স্মার্টার মর্নিং”।
আঁখি