ভারতের নেতারা ভারতকে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবী করে, অথচ পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান ধ্বংস হলে সেই নিউজগুলো ব্লক করে দেওয়া হয়। হায়রে ভারতের গনতন্ত্র! বলে মন্তব্য করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য।
আজ রাতে নিজের ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন পিনাকী।
পিনাকী তার পোস্টে বলেন, কাল ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী এবং সিনিয়র বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী বলেছেন যে, চার সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের সাথে লড়াইয়ের সময়, পাকিস্তান চাইনিজ ফাইটার জেট দিয়ে ভারতের পাঁচটা ফাইটার জেট ধ্বংস করেছে।
(স্বামীর বয়ানের উপর ভিত্তি করে একাধিক ভারতীয় অনলাইন সংবাদপত্রে শনিবার দুপুরে ভারতীয় পাঁচ ফাইটার জেট হারানোর যে সব রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিলো - তা সবই সন্ধ্যার আগে গায়েব হয়ে যায়। আর পাকিস্তানী যে সব অনলাইন সংবাদপত্রে স্বামীর এই স্বীকারোক্তির খবর প্রকাশিত হয়েছিলো, কাল রাত থেকে সেই সব অনলাইন সংবাদপত্র বা পোর্টাল, ভারতে আর খুলছেনা। )
কয়েক ঘন্টা পর ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধান অনিল চৌহান কাল বলেছেন যে, ভারত কিছু ফাইটার জেট যুদ্ধে হারিয়েছে সেই দিন উল্লেখ করে আরো জানান "কিন্তু তাদের সংখ্যা বলা যাবে না," তিনি বলেন।
যেই রাতে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয়, আমি ফ্রান্স-২৪ এর খবরে দেখছিলাম। টেলপে ভেসে আসলো, একাধিক ভারতীয় বিমান ভুপাতিত হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে। ফেইসবুকে পোষ্ট দিলাম। আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো একদল মানুষ। যেন আমি এক ভুয়া খবর দিয়েছি।
এখন দেখুন, একজন বয়োজ্যেষ্ঠ বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামী — যিনি একজন সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী এবং কট্টর এক হিন্দুত্ববাদী নেতা — স্বীকার করেছেন যে, গতমাসের যুদ্ধে ভারত পাঁচটি ফাইটার জেট হারিয়েছে।
ভারত যে পাকিস্তানকে আক্রমণের ব্যাপারে ভুয়া বীরত্বের দাবী করে তার অনেক প্রমাণ আমরা আগে পেয়েছি। ছয় বছর আগে ভারত পাকিস্তানের উপর এক 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' করার দাবী করেছিলো। সেই অপারেশন বালাকোটে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে এক মাদ্রাসার উপর ২০০০ পাউন্ডের বোমা ফেলে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন পাকিস্তানী জঙ্গীকে খতম করেছিলো, দাবী করেছিলো।
পরে এক অস্ট্রেলিয়ান স্যাটেলাইট ইমেজ অ্যানালাইজিং এজেন্সীর রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, ওই ভারতীয় আক্রমণের সফলতার দাবী ছিল ভুয়া। ওই বোমা ফাঁকা জায়গায় বা জঙ্গলে পড়েছিলো যেখানে কোনো মানুষই ছিলোনা।
ফুয়াদ
