ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শুরু হলো পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৪ জুন ২০২৫

শুরু হলো পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ৪ জুন থেকে হজের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার মিনায় অবস্থান করছেন লাখ লাখ হজযাত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা পাপমোচন ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনায় অংশ নিচ্ছেন ইসলামের অন্যতম এই পবিত্রতম ইবাদতে।

হাজীরা আজ ইহরাম বেঁধে সারাদিন কাটাবেন মিনায়, যেখানে তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশাল তাবু শহর। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর ট্রেন, বাস কিংবা পায়ে হেঁটে ১৪ কিলোমিটার দূরের আরাফাতের ময়দানে যাবেন তাঁরা। 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে আরাফাত। এখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আদায় করা হবে।

আরাফার ময়দানে অবস্থানকালে মুসল্লিরা কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ও নামাজে মগ্ন থাকবেন। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ। এবারের খুতবা অনুবাদ করা হবে বাংলাসহ ৩৪টি ভাষায়।

সূর্যাস্তের পর হাজীরা রওনা হবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ। রাতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে প্রতীকী শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য সংগ্রহ করবেন নুড়ি ও পাথর। ফজরের নামাজ পড়ে আবার ফিরে যাবেন মিনায়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ শেষে তাওয়াফের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজীরা। এরপর বিদায় তাওয়াফ শেষে ফিরে যাবেন নিজ নিজ দেশে।

এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকার মোতায়েন করেছে ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা ও আড়াই লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। মক্কায় হজ চলাকালে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়ানো হয়েছে ড্রোন নজরদারি ও চেকপোস্ট। গরমের তীব্রতা মোকাবেলায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবাসহ নানাবিধ প্রস্তুতি।

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর এই মহামিলন শুধু ইবাদতের ক্ষেত্রেই নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা এবং আত্মশুদ্ধির এক অনন্য নিদর্শন হিসেবেও বিশ্ববাসীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে প্রতিবছর।


ফরিদ

×