
ছবি: সংগৃহীত
আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশি হাজীরা। গতকাল বুধবার রাত থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজীদের মতো বাংলাদেশের হাজীরাও ধীরে ধীরে আরাফায় সমবেত হতে থাকেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালেও অনেক বাংলাদেশি হাজী আরাফার ময়দানে পৌঁছেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে এসেছেন। হজের অন্যতম প্রধান রুকন আরাফায় অবস্থান—যা শরিয়তের বিধান অনুযায়ী ফরজ। ৯ জিলহজ, সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকু আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে হয়। এটি পালন না করলে হজ সম্পূর্ণ হয় না।
বাংলাদেশি হাজীদের সঙ্গে আরাফার ময়দানে উপস্থিত রয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক।
হাজীরা এই পবিত্র ময়দানে দাঁড়িয়ে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে দোয়া করছেন, নিজেদের পাপ মোচনের জন্য প্রার্থনা করছেন। তারা মনের সকল চাওয়া-পাওয়ার কথা মহান আল্লাহর কাছে নিবেদন করছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে আরাফার এই সময়টি অত্যন্ত বরকতপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ।
সূর্যাস্তের পর হাজীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করে আরাফা থেকে মুজদালিফার পথে রওনা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে এক আজান ও দুই ইকামতে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাবেন। শরিয়ত অনুযায়ী, মুজদালিফায় অবস্থান করাও হাজীদের জন্য ওয়াজিব।
সৌদি আরবের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ধূলিঝড়ের সম্ভাবনার কথা জানানো হলেও, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হাজীরা এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।
এম.কে.