
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ আহমাদুল্লাহ কোরবানির সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভুলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পশু জবাইয়ের পর রক্ত ও বর্জ্য অপসারণে অবহেলা:
অনেকে পশু জবাইয়ের পর রক্ত ও বর্জ্য সঠিকভাবে পরিষ্কার করেন না, যা পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, "কোরবানি আমার, এর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্বও আমার।"
শরিকি কোরবানির ক্ষেত্রে হারাম উপার্জন:
কিছু মানুষ শরিকি কোরবানি করেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ যদি হারাম উপার্জন করেন, তবে তাদের কোরবানি সহিহ হবে না। এক্ষেত্রে অন্য শরিকদের কোরবানি আদায়ও হবে না।
কোরবানি পশু নির্বাচন:
কোরবানি করার জন্য যে পশু নির্বাচন করা হয়, তা অবশ্যই হালাল উপার্জনে কেনা হওয়া উচিত। হারাম উপার্জনে কেনা পশু দিয়ে কোরবানি করা ইসলামিক শরিয়তে নিষিদ্ধ।
কোরবানির সময় নিয়ত ও উদ্দেশ্য:
কোরবানির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র গোশত খাওয়া নয়; এটি আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মত্যাগের প্রতীক। নিয়ত সঠিক হওয়া প্রয়োজন।
কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান:
কোরবানি পশু জবাই করার স্থানটি অবশ্যই পরিষ্কার ও স্যানিটারি হওয়া উচিত। অবহেলাজনিত কারণে পরিবেশ দূষণ হতে পারে।
কোরবানি একটি মহান ইবাদত, যা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মত্যাগের প্রতীক। কিন্তু কোরবানির সময় কিছু ভুল করা হলে তা ইবাদতের সঠিকতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তাহলে, কোরবানির সময় শরিয়তসম্মত নিয়ম-কানুন মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, "কোরবানি শুধু পশু জবাই করার নাম নয়; এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদত, যার মধ্যে রয়েছে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, আত্মত্যাগ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা।"
পৃথী