ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

ডিসেম্বরে ভোট চাই, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অসন্তোষ বিএনপি

প্রকাশিত: ০১:৫১, ৭ জুন ২০২৫; আপডেট: ০১:৫৩, ৭ জুন ২০২৫

ডিসেম্বরে ভোট চাই, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অসন্তোষ বিএনপি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে শুক্রবার মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সভায় বলা হয়, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণ একটি ধর্মীয় শুভেচ্ছা বাণী না হয়ে জাতির উদ্দেশে রাজনৈতিক বক্তব্যে পরিণত হয়েছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলে।

এই দীর্ঘ ভাষণে তিনি বন্দর, করিডোর ইত্যাদি এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেছেন, যা তাঁরই ভাষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩টি ‘ম্যান্ডেট’-এর মধ্যে পড়ে না। ভাষণে তিনি শব্দচয়নে রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময়সীমা প্রস্তাব করেছেন তা পর্যালোচনা করে সভা মনে করে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে একদিকে আবহাওয়ার সংকট এবং অন্যদিকে রমজানের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রম এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অধিকন্তু, কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়—এমন কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ তাঁর ভাষণে উল্লেখ করা হয়নি।

প্রায় দেড় যুগ ধরে মৌলিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গুম, খুন, জেল-জুলুম, আহত ও নির্যাতিত হয়েও অব্যাহত লড়াই চালিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে তার বিজয় অর্জিত হলেও, নির্বাচন অনুষ্ঠানে অহেতুক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। বিধায়, এই সভা রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমপর্যায়ের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া ইত্যাদি বিবেচনায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করছে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার কথা বললেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত অগ্রাহ্য করে নিজেদের নিরপেক্ষতাকেই যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে দেশের জনগণ সঙ্গতভাবেই শঙ্কিত হতে পারে বলে সভা মনে করে। 

 

সানজানা

×