
ভোলার জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজম কাজীর ব্যক্তিগত অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সিগারেট সরকারকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মজুত ও বাজারজাতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও পুলিশ।
শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসানের উপস্থিতিতে বোরহানউদ্দিনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তবে অভিযানের সংবাদ শুনে আজম কাজী তার অফিস থেকে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের আশ্রয় প্রার্থনা করেন। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধারণা, আজম কাজী রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে আজম কাজী জানান,“এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই এবং এটা আমার চেম্বার না। আমি মাঝ বরাবর পার্টিশন দিয়া চেম্বার করি।”
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা সদরস্থ মহাজনপট্টি, সার্কুলার রোড এবং বোরহানউদ্দিন বাজারসংলগ্ন ব্রিজ এলাকায় দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে কল্যাণী ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে বাজারজাতকৃত শামস এন্টারপ্রাইজের শুল্ক ফাঁকি দেওয়া জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত সিগারেটের মধ্যে রয়েছে— ব্ল্যাক কিং ১১,৩২০ শলাকা, ওসাকা ৮,৮৮০ শলাকা, টি-২০ ব্র্যান্ডের ৪,৪৬০ শলাকা এবং ৫০/৫০ ব্র্যান্ডের ১,৩৯,৬১০ শলাকা। এসবের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা। পরে আটককৃতদের সিগারেটসহ থানায় সোপর্দ করা হয়।
নৌবাহিনীর এ অভিযানে স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নৌবাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তার পাশাপাশি সন্ত্রাস, মাদক ও অপরাধ দমনে তাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোরহানউদ্দিনের এক ব্যবসায়ী জানান, বিএনপি নেতা আজম কাজী দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ সিগারেট কর ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করে আসছেন। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে কেউ তাকে এতদিন কিছু বলার সাহস পায়নি
আফরোজা