ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুরবানি কবুল হওয়ার শর্ত কী? ইসলাম যা বলছে

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ৫ জুন ২০২৫

কুরবানি কবুল হওয়ার শর্ত কী? ইসলাম যা বলছে

 

মুসলিম উম্মাহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো কুরবানি। পবিত্র ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে কুরবানি করা হয়ে থাকে। তবে কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য কেবল পশু জবাই করলেই যথেষ্ট নয়—এর রয়েছে কিছু শর্ত ও আদব। ইসলামিক স্কলাররা বলছেন, এসব শর্ত পূরণ না হলে কুরবানি শুধু একটি সামাজিক আয়োজনেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।

✅ কুরবানি কবুল হওয়ার মূল শর্তসমূহ:

১. নিয়ত শুদ্ধ হওয়া:
কুরবানি অবশ্যই একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হতে হবে। লোক দেখানো বা সামাজিক মর্যাদার জন্য কুরবানি দিলে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না।

২. সময় অনুযায়ী কুরবানি করা:
ঈদুল আজহার নামাজ শেষে ১০ জিলহজ থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানি করতে হয়। এর বাইরে কুরবানি করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

৩. পশু হতে হবে নিখুঁত ও স্বাস্থ্যবান:
কুরবানির পশু হতে হবে নির্দিষ্ট বয়সের এবং ত্রুটিমুক্ত—অর্থাৎ অন্ধ, পঙ্গু, রুগ্ন, শিং ভাঙা বা লেজ কাটা পশু গ্রহণযোগ্য নয়।

৪. পশুর মালিক হওয়া:
যে ব্যক্তি কুরবানি দিচ্ছেন, সেই পশুর মালিক হতে হবে। অন্যের মালিকানাধীন বা চুরি করা পশু দিয়ে কুরবানি করা যাবে না।

৫. শরয়ি সামর্থ্য থাকা:
যে ব্যক্তি কুরবানি দিতে চান, তার উপর কুরবানি ওয়াজিব তখনই হয়, যখন তার নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে। এটি ফিতরার নিয়মের মতোই।

৬. কুরবানির গোশত বিতরণের নিয়ম মানা:
কুরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া উত্তম—এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-পরিজনের জন্য এবং এক ভাগ গরিবদের জন্য। পুরো গোশত রেখে দেওয়া কিংবা পুরোটা বিলিয়ে দেওয়া—উভয়টিই জায়েজ, তবে সুন্নত মোতাবেক তিন ভাগ করাই শ্রেয়।

 

আসন্ন ঈদুল আজহায় কুরবানি করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? তাহলে এসব শর্ত অবশ্যই খেয়াল রাখুন। কারণ কুরবানি শুধু রীতির নয়, এটি ইবাদত—যার মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি।

আঁখি

×