ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাবনার শতবর্ষের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের জেলা থেকে দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে সুনাম

সোহেল রানা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাবনা সদর:

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৭:৩৫, ৪ জুন ২০২৫

পাবনার শতবর্ষের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের জেলা থেকে দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে সুনাম

তিন পুরুষের ব্যবসা পাবনার ''লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার"। ১৯১৪ সালে পাবনা জজ কোর্টের পাশে ছোট পরিসরে শুরু করে। পরবর্তীতে পাবনা শহরের রায়ের বাজারে লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের বড় পরিসরে যাত্রা শুরু। লক্ষ্মীর রসগোল্লা, প্যাড়া, চমচম, ইলিশ পেটি, দই, ঘি জেলাসহ দেশের ও দেশের বাইরে পাবনার মানুষদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সুনাম৷ পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রায়ের বাজারে লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা করেন লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষ।

প্রায় ১১৫ বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষের মৃত্যুর পর লক্ষ্মীর হাল ধরেন তার ছেলে নিমাই চন্দ্র ঘোষ।

তৎকালীন রাজনৈতিক আতুরঘর হিসাবে পরিচিতি লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার।

জেলা শহরে আগত সকল শ্রমজীবী, শিক্ষার্থী, ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের কাজকর্ম শেষ করে লক্ষ্মীর রসগোল্লা, প্যাড়া খেয়ে তৃপ্তি মিটায়ে বাসায় ফিরে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মোতালেব হোসেন নামের এক যুবক বলেন, আমার বাসা পাবনা সুজানগর উপজেলায় আমি শহরে একটি কাজে এসেছি, কাজ শেষে লক্ষ্মীর রসগোল্লা ও প্যাড়া খেয়ে সারাদিনের ক্লান্তি শেষ করে বাসায় ফিরব।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, মৃত নিমাই চন্দ্র ঘোষের ছেলে দীপ্ত কুমার ঘোষ (৩৯) বলেন, আমাদের রায়ের বাজার, রবিউল মার্কেট ও পাবনা বাস টার্মিনাল তিনটি দোকান ও কারখানা মিলে ২০ জন কর্মচারী কাজ করছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের রসগোল্লা, প্যাড়া, চমচম, ইলিশ পেটি, দই, ঘি'র সুনাম ছড়িয়ে আছে।

বর্তমানে লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষের ছেলে ভোলানাথ ঘোষ (৭৩), অনুপ কুমার ঘোষ (৬৮) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।

আফরোজা

×