ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে জানালেন, ইলন মাস্কের আচরণে তিনি ‘খুব বিস্মিত’ এবং ‘গভীরভাবে হতাশ’। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যয় সঙ্কোচন পরিকল্পনা নিয়ে মাস্কের প্রবল সমালোচনার পর এই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘ইলন আর আমার একসময় দারুণ সম্পর্ক ছিল। এখন আর থাকবে কি না, তা জানি না।’ এটাই ছিল ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মাস্কের বিরুদ্ধে সরাসরি ও সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য।
মাস্ক সম্প্রতি ট্রাম্পের বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তারা ভুল করেছেন—তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত!’
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘এত কৃতজ্ঞতাহীনতা! আমার কারণে ট্রাম্প নির্বাচনে জিতেছিলেন—তা না হলে হেরে যেতেন।’
উল্লেখ্য, মাত্র ১২৯ দিন দায়িত্বে থাকার পর গত সপ্তাহে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন মাস্ক। ৩০ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প তাকে ‘গোল্ডেন কি’ দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। অথচ সেই সম্মেলনের কিছুদিন পরেই দুইজনের সম্পর্কে এমন খারাপ মোড় নেয়।
বাজেট বিলে বিপুল ব্যয়ছাঁটাই ও কর কর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়, যা রিপাবলিকানদের বড় অংশের সমর্থন পেলেও কিছু রিপাবলিকান ও সব ডেমোক্র্যাট এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘এই বিলে যেসব পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, তা অবিশ্বাস্য। ইলন এর ভেতরের খুঁটিনাটি সবচেয়ে ভালো জানতেন—হঠাৎ করে এমন বিরোধিতা কেন, বুঝতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সে এখনো আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে কিছু বলেনি, তবে মনে হয় সেটাও শিগগিরই আসবে।’
মাস্ক দায়িত্বে থাকাকালীন ইউএসএইড (USAID) সহ একাধিক দপ্তর বিলুপ্ত করেন এবং হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেন। যদিও তার দাবি অনুযায়ী এতে ১৮০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে, তবে সেই হিসাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার লক্ষ্য ছিল ২ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ব্যয় হ্রাস করা।
সূত্র: বিবিসি।
রাকিব
