
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নিতে হবে ব্যক্তিগত উদ্যোগও-এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোরবানির পশু জবাইয়ের পর কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই নিয়ম না মেনে যত্রতত্র পশু কোরবানি করে থাকি, যা উচিত নয়। পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তবে তা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে এই বর্জ্য আমাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
করণীয়
ক. কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য বসতবাড়ি থেকে সম্ভাব্য দূরবর্তী কোনো পরিষ্কার স্থান বেছে নিতে হবে।
খ. জবাইয়ের জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করে এমন একটি গর্ত খুঁড়ে নিতে হবে, যাতে জবাইকৃত পশুর সম্পূর্ণ রক্ত তাতে জমা হতে পারে।
গ. এমনভাবে জবাই করতে হবে যেন পশুর রক্ত গর্তেই জমা হয়, চতুর্দিকে ছড়িয়ে না পড়ে।
ঘ. জবাইয়ের পরে গর্তটা মাটি দিয়ে এমনভাবে ঢেকে দিতে হবে যেন রক্ত-পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
ঙ. পশুর সব বর্জ্য বড় আকারের গর্ত করে তার মধ্যে রেখে মাটিচাপা দিতে হবে। যদি পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এলাকায় হয়, তাহলে নির্দিষ্ট স্থানে সেগুলো রেখে দিতে হবে, যাতে পরিচ্ছন্নকর্মীরা সময়মতো সেগুলো অপসারণ করতে পারেন।
Mily