
টানা বর্ষণে ভারতের আসামে আবারও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। একদিকে ভেসে গেছে সারা বছরের ফসল, অন্যদিকে সুপেয় পানি ও খাদ্যের জন্য চলছে হাহাকার। কোমর পানিতে হেঁটে চলাচল করছেন অনেকে, কোথাও কোথাও একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে নৌকা।
মরিগাঁও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এখন পানির নিচে। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশে গড়ে তোলা অস্থায়ী তাবুতে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। খাবার তো দূরের কথা, অনেকে এক ফোঁটা পানিও পাচ্ছেন না ঠিকমতো।
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি, ধান, পাটসহ নানা ধরনের ফসল। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে শুধু মানুষ নয়, বিপদের মুখে পড়েছে বন্যপ্রাণীরাও। কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে বিরল প্রজাতির গণ্ডার আটকে পড়েছে পানিবন্দি অবস্থায়। খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে বন্যপ্রাণীরা জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে আসছে জনবসতিতে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কিছু পশুকে উঁচু এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কিছু কিছু এলাকায় পানি নামলেও মূল বিপদ কাটেনি। কারণ আসামে প্রতিবছর গড়ে তিনবার বড় ধরনের বন্যা হয়। এ বিষয়ে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, “এখনকার পরিস্থিতি থেকেও ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ আশু ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া এ ধরনের বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
মিমিয়া