
বৃষ্টি হলে কাদা আর রোদ হলে ধুলা। সড়কটি পাকা হলেও দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে, এটি পাকা সড়ক। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পরিবহণ ও ভারী ট্রাক চলাচল করে। প্রতিদিন শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণীপেশার মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। ট্রাকে ট্রলিতে করে নেয়া মাটি ও বালি রাস্তার উপরে পড়ে কাদা মাটিতে একাকার হয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সড়কে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার যশোর-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বৃষ্টির পর থেকে সড়কটি কাদা মাটি ভিজে একাকার হয়ে যায়। সড়কের গর্ত জমে যায় পানিতে। আর বৃষ্টি না হলে গাড়ির চাকার সঙ্গে উড়ে ধুলা। রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকেরা বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। ফলে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন মোটরসাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা। পাকা রাস্তার উপর ভেজা কাদা মাটিতে একাকার হয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মরণ ফাঁদ। রাস্তা দিয়ে গাড়িতে চলাচল ও হেঁটে পথ পাড়ি দিতে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। স্থানীয়দের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে ইটভাটার মালিক ও মাটি, বালি ব্যবসায়ীদের লাইন্সেবিহীন ট্রাক্টর ডাম্পার, ট্রলি নিয়মিত মাটি ও বালি বহন করে থাকে। এই ট্রলি থেকে বালি মাটি পড়ে রাস্তার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়। এই মাটি রোদের সময় ধুলা আর বৃষ্টির সময় পিচ্ছিল কাদায় পরিণত হয়। বৃষ্টি হওয়াতে পাকা সড়কে কাদা হয়ে পড়েছে।
কৃষ্ণপদ শীল নামের মোটরসাইকেল চালক বলেন, বৃষ্টি হলে কাদা অন্যদিকে রোদ উঠলে ধুলা। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হয়। ধুলায় কোন কিছুই দেখা যায় না। তাই চলাচলে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।
এ্যানি পরিবহনের চালক রমজান আলী বলেন, বছর জুড়েই এই রাস্তায় চলাচল করতে দুভোর্গ পোহাতে হয়। ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। বর্ষা হলেই চলাচল করতে দুর্ভোগ বাড়ে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয়ে মহাসড়কের কাজ দেখছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানোর ক্ষেত্রে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ এছাড়াও মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে।
রাজু