ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস উৎপাদন করে যে দেশ

প্রকাশিত: ১০:০৪, ৭ জুন ২০২৫

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস উৎপাদন করে যে দেশ

বিশ্বজুড়ে গরুর মাংসের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের দাপট বজায় রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বিশাল জমির পরিমাণ এবং গরুর মাংসপ্রেমী সংস্কৃতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গরুর মাংস উৎপাদক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র একা বিশ্ব বাজারের প্রায় ২০ শতাংশ দখলে রেখেছে।

তবে শুধু প্রচলিত গরুর মাংসই নয়, আরও স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ‘গ্রাস-ফেড’ বা ঘাস খাওয়া গরুর মাংস উৎপাদনেও শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এ খাতেও তাদের বাজার দখল ২৯.৫ শতাংশ। ধারণা করা হয়, বিলাসবহুল ওয়াগ্যু স্টেকের জন্য জাপান বিখ্যাত হলেও, প্রকৃত সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি গরু উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রই। ২০১৯ সালে দেশটির গরুর সংখ্যার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ৯৪.৭ মিলিয়ন।

ব্রাজিল দ্বিতীয়, কিন্তু পেছনে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল। ২০২৪-২৫ সালে দেশটি উৎপাদন করেছে ১১.৮৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গরুর মাংস, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদন করেছে ১২.২৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন।

ঘাস খাওয়া বনাম শস্য খাওয়া গরুর পার্থক্য

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরুকে সাধারণত ঘাস খাওয়ানো হয়। এতে মাংস হয় আরও লালচে, লীন ও পুষ্টিকর। যুক্তরাষ্ট্রেও এই ধরনের উৎপাদন বাড়ছে। তবে দেশের অধিকাংশ খামারে এখনো গরু বড় করা হয় শস্য খাইয়ে।

খামারিরা এই পদ্ধতিকে বেশি লাভজনক মনে করেন, কারণ এতে গরু দ্রুত ওজন পায় এবং দ্রুত বাজারে ছাড়ার উপযোগী হয়। তবে এতে ব্যবহার করতে হয় অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন, যা মাংসের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

বাজারে কিভাবে চিনবেন?

দোকানে আপনি সহজেই চেনা যাবে কোনটি ঘাস খাওয়া গরুর মাংস, আর কোনটি শস্য খাওয়া। ঘাস খাওয়া গরুর মাংস সাধারণত গাঢ় রঙের হয় এবং চর্বি হয় হলুদাভ। অপরদিকে, শস্য খাওয়া গরুর মাংস হয় উজ্জ্বল লাল এবং চর্বি থাকে সাদা।

স্বাদ ও গুণে কে এগিয়ে?

এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলেন ঘাস খাওয়া গরুর মাংসের স্বাদ অনেকটা বন্যপ্রাণীর মাংসের মতো, আবার কেউ বলেন শস্য খাওয়ানো গরুর মাংস বেশি কোমল ও সুস্বাদু। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সংস্কৃতিতে গরুর মাংসের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান স্পষ্ট। আর এই ভালোবাসাই দেশটিকে বৈশ্বিকভাবে ‘বিফ পাওয়ার’ করে তুলেছে।

তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ, মাইক হ্যানসেন/গেটি ইমেজেস

আঁখি

×